• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেন এই বর্বরতা?


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৮, ২০১৮, ০৫:৪২ পিএম
কেন এই বর্বরতা?

কক্সবাজার: পরীক্ষায় ছেলের রেজাল্ট খারাপ, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়ায় ওই স্কুলছাত্রের বাবাকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছেন শিক্ষকরা। পরে ওই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ন্যাক্করজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৭ জানুয়ারি) কক্সবাজারের সদর উপজেলার খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।

এদিকে ওই ঘটনায় সোমবার (৮ জানুয়ারি) স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করেছে নির্যাতনের শিকার অভিভাবক আয়াত উল্লাহর স্বজন। এছাড়া হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলো- খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক, শিক্ষক নজিবুল্লাহ, নুরুল হক, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক ও সদস্য মুস্তাক। এছাড়া আরো ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার আয়াত উল্লাহর ছেলে শাহরিয়ার নাফিস আবির খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে প্রথম শ্রেণিতে ‘এ’ প্লাস না পাওয়ার বিষয়ে জানতে রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের কাছে যান।

এসময় ওই অভিভাবক পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভর্তি ও মাসিক বেতন কেন বাড়ানো হয়েছে জানতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পাশের খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হককে ডেকে আনেন বোরহান উদ্দিন। পরে জহিরুল হক এসে এসব প্রশ্ন কেন করা হচ্ছে বলে আয়াত উল্লাহকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। এরপর দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ওই অভিভাবকের ওপর নির্মম নির্যাতন চালান অভিযুক্ত শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক বলেন, আয়াত উল্লাহ আমাদের স্কুলের ছাত্র ছিলেন। তিনি স্কুলে এসে বেয়াদবি করায় তাকে এমন শাস্তি দেয়া হয়েছে। এমনকি আর কোনো দিন এ ধরণের কাজ করবে না বলে মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর থানার ওসি রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি জানার পরে ওই অভিভাবকের বাড়িতে যাই। পরে তারা থানায় মামলা করেন।

এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান হোসেন প্রিন্স ঘটনাস্থল ও অভিভাবকের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!