• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
পুনরায় সাক্ষ্য

খালেদার আবেদন আপিলেও খারিজ


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ১২, ২০১৭, ০২:২০ পিএম
খালেদার আবেদন আপিলেও খারিজ

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৩২ সাক্ষীর সাক্ষ্য বাতিল করে পুনরায় সাক্ষ্য নিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টে খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

রোববার (১২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে গত ১২ জানুয়ারি পুনরায় সাক্ষ্য নিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। তবে যেকোনো মামলায় সাক্ষ্য নেয়ার ক্ষেত্রে সাক্ষীরা যাতে আইন অনুযায়ী শপথ নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আইন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার উপরোক্ত আবেদনের শুনানিতে বিব্রত প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরে প্রধান বিচাপতি খালেদার আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল মামলার রাষ্ট্রপক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাতিল করে পুনরায় নেয়ার জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদনে বলা হয়, শপথের বিধান অনুযায়ী, এই সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। তাই এই সাক্ষ্য বাতিল করে নতুন সাক্ষ্য নেয়া হোক। কিন্তু বিশেষ জজ আদালত-৩ শুনানি শেষে এই আবেদন খারিজ করে দেন। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা করেন খালেদা জিয়া। তার পক্ষে আইনজীবী জাকির হোসেন ভুঁইয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি দাখিল করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে মামলাটির বিচার শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!