• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চাল তেলের পর উত্তাপ চিনিতে


অর্থনৈতিক রিপোর্ট ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮, ০২:৫২ পিএম
চাল তেলের পর উত্তাপ চিনিতে

ঢাকা : বাজারে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম। যা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। এবার বাড়ছে চিনির দাম। গত বুধবার থেকে পাইকারি বাজারে পণ্যটি বাড়তি দামে কেনাবেচা শুরু হয়েছে। অবশ্য বাড়তি দামের চিনি এখনো খুচরা বাজারে পৌঁছায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পাইকারি বাজার মৌলভীবাজার ও কারওয়ানবাজারে চিনির দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত বাড়তি। মোবাইল ফোনে মৌলভীবাজারের চিনি ব্যবসায়ী মা ট্রেডার্সের কার্তিক নন্দী বলেন, পাইকারিতে প্রতি বস্তা চিনি ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আগে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চিনি ২ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে আড়াই হাজারে কেনাবেচা হতো। এখন তা ২ হাজার ৬০০ টাকা হয়েছে। মিল থেকে এর দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে এখনো খুচরা বাজারসহ পাড়া-মহল্লার দোকানে তেমন প্রভাব পড়েনি।

শুক্রবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম আগের মতো ৫২ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে ছিল। আর বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৪ টাকা দরে।

এদিকে গত তিন সপ্তাহে চালসহ তেল-চিনির দাম বাড়ায় আবারো শঙ্কিত সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ করে চালের দাম কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বাড়ায় অধিকাংশ ভোক্তা ক্ষুব্ধ।

শুক্রবার খিলগাঁও বাজারে গৌরচন্দ্র নামের একজন সরকারি চাকরিজীবী বলেন, বাজার খরচ এখন খুব ভোগাচ্ছে। যখন-তখন পণ্যের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের কাছে কোনো সদুত্তর নেই। নির্বাচনের আগে বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধিতে সিন্ডিকেটের তোড়জোড় শুরু হয়েছে কি না সেটা সরকারকে দেখতে হবে।   

চালের পর গত সপ্তাহে বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম। এতে খুচরায়ও খোলা সয়াবিন তেল ২-৪ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে এ সময় কেজিপ্রতি রসুনের দর বেড়েছে ১০ টাকা। এখন বাজারে আমদানি রসুনের কেজি ১০০ টাকা। সঙ্গে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা।

তবে এসব পণ্যের ওপর কিছুটা বাড়তি খরচ হলেও সেটা কিছুটা পুষিয়ে যাচ্ছে কমদামে সবজি পাওয়ার কারণে। এমনটা জানিয়ে রামপুরা বাজারে আসা এজাজ হোসেন বলেন, আগে ৫০ টাকার নিচে সবজি মিলত না। আজ ৩০ টাকায় শিম কিনেছি। টমেটোর দাম ১৫ টাকা কেজি। আর শালগম ২০ টাকা। বেশিরভাগ সবজি মোটামুটি কমদামেই পাওয়া যাচ্ছে।

আরো কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১৫-২৫ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৩৫-৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩৫-৫০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শিমের বিচি ৮০-১২০ টাকা ও মটরশুঁটি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে পেঁয়াজের দাম কমছে। তবে অনেক ধীরগতিতে। প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ এখনো ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

বাড়তি দামে শুক্রবার রাজধানীর বাজারে মোটা চাল কেজিপ্রতি ৪৪-৪৬ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর মাঝারি মানের চালের দর ৫২-৫৬ টাকা। তবে ভালো মানের মিনিকেট চালের জন্য ভোক্তাকে কেজিপ্রতি মানভেদে গুনতে হচ্ছে ৬০-৬৬ টাকা। আর ভালো মানের নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা পর্যন্ত।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!