• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চালের দাম ৪০ টাকার মধ্যে আনতে চেষ্টা চলছে


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৩০, ২০১৭, ০৭:৪২ পিএম
চালের দাম ৪০ টাকার মধ্যে আনতে চেষ্টা চলছে

ফাইল ফটো

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, এ বছর অসময়ে বন্যায় ধানে ব্যাপক ক্ষতির কারণে দেশের চালের দাম বেড়ে গেছে। আমরা চালের দাম কমিয়ে কেজিপ্রতি ৪০ টাকার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে শুধু এবছর আমরা খাদ্য সমস্যায় পড়েছি। অসময়ের বন্যায় বিশেষ করে হাওরাঞ্চলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় চালের দাম বেড়ে গেছে। এটাকে কমিয়ে ৪০ টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছি।

চলতি বছরের এপ্রিল-মে থেকে চালের দাম বাড়তে শুরু করে। যেটা সেপ্টেম্বরে কোরবানির ঈদের পর কিছু দিনের মধ্যে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। চিকন চালের সঙ্গে সমানভাবে বাড়তে থাকে মোটা চালের দামও।

চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে চালকল মালিক, আমদানিকারক, আড়ৎদার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী বৈঠক হয়। এসময় সরকার ব্যবসায়ীদের কয়েকটি দাবি মেনে নিলে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দেন চালকল মালিকরা।

এছাড়া চাল আমদানির শর্ত শিথিল করায় ভারত, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া থেকে চাল আমদানিও শুরু হয়। এতে মোটা চালের দাম কিছুটা কমলেও চিকন চালের দাম খুব একটা কমেনি।

সরকার চালের দাম কমানোর বিষয়টি গুরুত্বে সঙ্গে নিয়েছে জানিয়ে মুহিত বলেন, ইতিমধ্যে যেসব চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেগুলো চালের দাম কমাচ্ছে।

‘অ্যাচিভিং এসজিডিস: এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ) আয়োজিত পলিসি ডায়ালগে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক দশক ধরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে রয়েছে। আর শেষ তিন বছরে আমরা ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বিশ্বে অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিলে আমরা অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে চাঙা করার নীতি গ্রহণ করি, যাতে বাজারে পণ্য সরবরাহ কমে না যায়। এক্ষেত্রে আমরা দারুণ সফলতা পেয়েছি।

মুহিত বলেন, বাংলাদেশে ৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমায় রয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন করা আমাদের প্রধান পলিসি। শেষ আট বছরে আমরা প্রতিবছরই এক শতাংশ করে কমিয়েছি। আশা করছি ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারব।

বর্তমানে ইফাদ বাস্তবায়নাধীন ছয়টি প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধি, বাজার ও অর্থ প্রবাহে অভিগম্যতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় জীবিকার সন্ধানে সহযোগিতা দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রকল্পগুলোর কাজ এগোচ্ছে।

বিনিয়োগে ইফাদের সহযোগীদের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, নেদারল্যান্ডস সরকার, স্পেন সরকার, জার্মানির কেএফডব্লিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, কোরিয়া, নোরাড, ড্যানিডা, ইউএসএইড এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও দেশি এনজিও রয়েছে।

১৯৭৮ সাল থেকে ৩২টি প্রকল্পে বাংলাদেশে ইফাদ সরাসরি ৭১ কোটি ৭২ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর উপকার ভোগ করেছে ১ কোটি ৭ লাখ পরিবার।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!