• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৯, ২০১৬, ১১:১৪ এএম
জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত এবং আইনের তিনটি ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) বিবাদী করা হয়েছে।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ বিষয়ে বলেন, সংবিধানের ১১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে সরাসরি জনগণের ভোটে। কিন্তু জেলা পরিষদ আইনের ৪, ৫ ও ১৭ নম্বর ধারার আলোকে নির্বাচন করা হচ্ছে নির্বাচকমণ্ডলীর মাধ্যমে। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।

রিটে আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচন স্থগিত ও বাতিল চাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ডিসেম্বর। গত ২৪ অক্টোবর সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়।

আইন অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠন হবে। চেয়ারম্যান ও ২০ জন সদস্যকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি করপোরেশন (থাকলে), উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এ জন্য প্রতিটি জেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে।

কমিশন সচিবালয় থেকে জানা যায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটকেন্দ্র রাখা হবে।

জেলা পরিষদ নির্বাচন করার জন্য ৬ অক্টোবর জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করে সংসদে বিল পাস হয়। ২০০০ সালের জেলা পরিষদ আইনে পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তের বিধান ছিল না। নতুন আইনে আদালতে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আগের আইনে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। এখন তাঁরা ভোট দিতে পারবেন।

সরকার ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা বাদে বাকি ৬১টি জেলা পরিষদে দলীয় নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। তখন স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জেলা পরিষদ গঠন করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!