• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘দুই সিটিতে ২০ দলের কর্মীদের ক্রসফায়ারের ভয় দেখাচ্ছে’


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২৯, ২০১৮, ০২:২৯ পিএম
‘দুই সিটিতে ২০ দলের কর্মীদের ক্রসফায়ারের ভয় দেখাচ্ছে’

ঢাকা: পরাজয় নিশ্চিত ভেবে নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে রাখতে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনে বিএনপি ও ২০ দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর আওয়ামী পদলহীরা ক্রসফায়ারের ভয় দেখাচ্ছে বলে আভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। এ সময় তিনি গাজীপুরে জোট প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণাকালে গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ এস এম সানাউল্লাহসহ ২০ দলের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। 

রোববার (২৯ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, এখন পর্যন্ত দুই সিটিতে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি ইসি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও দুই সিটিতে ক্ষমতাসীনদের বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। সন্ত্রাসীরা এলাকায় এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কালো টাকার ছড়ানোর অভিযোগ করলেও এবং প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসিতে জমা দিলেও নির্বাচন কমিশন অন্ধের ভূমিকা পালন করছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, গতকাল (২৮ এপ্রিল) গাজীপুরের মৌচাকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল সাহেবের সভাপতিত্বে এক নির্বাচনী যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, আহমদ হোসেন এমপি এবং গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে বিজয়ী করতে আহবান জানান। যা সুষ্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।

তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিপীড়ন নির্যাতন চলছে দুই সিটিতে। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, ক্রসফায়ারের ভয় দেখাচ্ছে, এমনকি নেতাকর্মীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গতকালও টঙ্গী বিএনপি’র কার্যালয়ে পুলিশ অবস্থান নিয়ে ভীতির সৃষ্টি করে, যাতে নেতাকর্মীরা ভয়ে দলীয় অফিসে না আসে।

গাজীপুরের এসপি হারুন আতঙ্কের মহানায়ক উল্লেখ করে রিজভী বলেন, গাজীপুরের পুলিশ এখন ভয়ঙ্কর আতঙ্কের নাম। আর এই আতঙ্কের মহানায়ক হচ্ছে এসপি হারুন। যার হাতে বিরোধী দলের এমপি থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত নিপীড়ন নির্যাতন ও আর্থিক শোষণের শিকার হয়েছে বারবার। তার দাপটে গাজীপুরে সাধারণ নিরীহ মানুষরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বিরোধী দলের তরুণ কর্মীরা কেউ গাজীপুরে অবস্থান করতে পারে না। গাজীপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এসপি হারুন। তার লাগামছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহারে গাজীপুরবাসীর স্বপ্নে-দু:স্বপ্নে দিনরাত্রী এক হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা শুরু থেকে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ ব্যাপারে নির্বিকার। আমি অবিলম্বে গাজীপুরের এসপি হারুনের প্রত্যাহার দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা তার সঙ্গে দেখা করার পর বেগম জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে এখনও তার পছন্দানুযায়ী হাসপাতাল ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে সরকার প্রতিহিংসা বাস্তবায়নে চুড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছে কিনা তা নিয়ে জনমনে এখন নানা প্রশ্ন ও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে আওয়ামী লীগ মিথ্যাচার করছে। সেই সাথে ক্ষমতাসীনরা অন্তহীন ষড়যন্ত্রও করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!