• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতির এক চিঠি নিয়ে মুখোমুখি সুপ্রীমকোর্ট ও হাই কোর্ট


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৯, ২০১৭, ০৭:৩৬ পিএম
দুর্নীতির এক চিঠি নিয়ে মুখোমুখি সুপ্রীমকোর্ট ও হাই কোর্ট

ঢাকা: অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে তদন্ত ‘আটকাতে’ দুর্নীতি দমন কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দেয়া ওই চিঠি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে সোমবার(৯ অক্টোবর) রুল দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

ওই চিঠিতে বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের কোনোরকম ব্যবস্থা গ্রহণ ‘সমীচীন হবে না’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল, যা নিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সমালোচনামুখর ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

দুদকে গত ২৮ মার্চ পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুণাভ চক্রবর্তীর চিঠিটি আইনজীবী মো. বদিউজ্জামান তফাদার আদালতের নজরে আনার পর এই রুল দেয়া হয়। আদালতে এ বিষয়ে শুনানিতে বদিউজ্জামানের সঙ্গে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানও ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, দুদকের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই রুলের শুনানির জন্য অ্যামিচি কিউরি হিসেবে আদালত তিন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছে। তারা হলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, এ এম আমিন উদ্দিন ও প্রবীর নিয়োগী।

আগামী ১৯ অক্টোবর এই বিষয় পরবর্তী শুনানি হবে। জয়নুল আবেদীন ১৯৯১ সালে হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০০৯ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে অবসরে যান তিনি। এই নোটিসের পর চিঠি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় গত ১০ জুলাই হাই কোর্টে গিয়ে আগাম জামিন নেন বিচারপতি জয়নুল আবেদীন।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সন্দেহে ২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে তাকে নোটিস দেয় দুদক। ওই নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি জয়নুল আবেদীন ২০১০ সালের ২৫ জুলাই হাই কোর্টে একটি রিট আবেদনও করেছিলেন।

তার শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছিল।

এর সাত বছর পর পুনরায় এই বিচারপতির বিরুদ্ধে বিদেশে ‘অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে’ উল্লেখ করে তার বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে গত ২ মার্চ চিঠি দেয় দুদক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!