• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘নির্বাচনকালীন সরকার ঠিক করতে গণভোট দিন’


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৭, ২০১৮, ০৭:০৪ পিএম
‘নির্বাচনকালীন সরকার ঠিক করতে গণভোট দিন’

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা ঠিক করতে গনভোট দেয়ার দাবি জানিয়েছেন গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী। 

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গণদলের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার আর ক্ষমতায় থাকার চরদখলের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করে গণমানুষের রায় নিন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংবিধানে গণভোটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন এবং জনগণের সামনে ছেড়ে দিন, নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি বেছে নিতে। গণভোটের মাধ্যমে গণমানুষের রায় নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা ঠিক করুন।

নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে ঔপনোবেশিক পদ্ধতি দাবি করে গণদলের চেয়ারম্যান বলেন, কোটা প্রথার মাধ্যমে ঘুরে ফিরে নির্ধারিত কয়েকটি দলকে ক্ষমতায় আনার অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা কখনই ভালো ফল দেবে না। রাজনৈতিক দল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। নির্ধারিত কিছু নীতিমালার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাঠামো ও কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতে পারে। কিন্তু নিবন্ধনের নামে নিয়ন্ত্রণ করার কালো আইন বাতিল করতে হবে।

গণদল চেয়ারম্যান বলেন, প্রয়োজনে নির্বাচনের ৩০ দিন আগ পর্যন্ত প্রাথমিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। পরে কাঠামোগত নীতিমালা বাস্তবায়নের শর্ত পূরণ হলে স্থায়ী নিবন্ধন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে ইঙ্গিত করে মাওলা চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া বন্ধ করে, কালো টাকার প্রভাব মুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন। তা হলেই অনেকটা স্বচ্ছ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

গণদল চেয়ারম্যান সরকার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, নিত্যপণ্য বিশেষ করে পেয়াজ-আলু শাকসবজি ও চাল-ডালের নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনকে অস্থির করে তুলেছে।

তিনি দাবি করেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচিত সরকার, কিন্তু বাজার ব্যবস্থা দেখলে তা তো মনে হয় না। উল্টো দেখা যায় আমলা ও বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকার চলছে দেশে। সে কারণেই এসব দেখবার কেউ নেই। যে যার মতো করে নিত্যপণ্যের দর বাড়িয়ে অসহায় মানুষের কষ্টের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর মুনাফালোভীরা।

তিনি বলেন, আর গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি তো ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হয় এটা না করলেই নয়। অন্যদিক গণপরিবহনে চলছে ব্যাপক নৈরাজ্য। নেই কোন সুষ্ঠু নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রণ। এটা যেন এখন আর সেবা নয়, বরং নাগরিক জীবনের বড় যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, কতিপয় মাস্তান আর মুনাফালোভীর নির্যাতনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে গণপরিবহন ব্যবস্থা। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সুষ্ঠু গণপরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহবান জানান গণদল চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, উন্নয়ন আর গণতন্ত্রকে এক সাথে মেলানো যাবে না। তাই সরকারকে দ্রুত গণমানুষের দাবির পক্ষে আসবার আহবানও জানান গণদল চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী।

গণদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব নুরুল কাদের চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহ আলম হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তাইফুন নাহার রোজি, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা নুরুল কাদের, কাজী শামসুল ইসলাম, মহানগর নেতা বাবুল আহম্মেদসহ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় এবং অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!