• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মার পানি বেড়ে দুই উপজেলার ২০ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জুলাই ১৫, ২০১৭, ০৫:৫০ পিএম
পদ্মার পানি বেড়ে দুই উপজেলার ২০ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন

মুন্সীগঞ্জ: জেলার লৌহজং ও টংগীবাড়ি উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী ২০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী তীরবর্তী থেকে শতাধিক বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।

টংগীবাড়ি উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের বড়াইল, চৌসার, বাগবাড়ি, জুসিষার গ্রামের ১০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বড়াইল গ্রামের মসজিদটি শুক্রবার সন্ধ্যায় ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। ৪টি গ্রামের মানুষ ভাঙন আতংকে নিরাপদ স্থানে বাড়িঘর সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচদিন ধরে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে এসব গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বড়াইল গ্রামের মাসুম মোল্লা জানান, নিজেদের ৫টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতংকে নিরাপদ স্থানে এসেছি। বড়াইল গ্রামে ৭ শতাধিক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। গ্রামে নদীর পানি প্রবেশ করে ধান-ক্ষেতসহ ফসলের জমিতে পানি ঢুকে গেছে। নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছে গ্রামের মানুষ।

টংগীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল হক জানান, সকালে কামারখাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর বর্তমান অবস্থা জেনেছি। মসজিদসহ ১০টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

বৃহস্পতিবার লৌহজংয়ের পদ্মা তীরবর্তী গাওদিয়া গ্রামের ১০টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। নদী তীরবর্তী গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গাওদিয়া গ্রামের আসাদ হোসেন জানান, সাড়ে ৩ হাজার মানুষ এই গ্রামে বসবাস করে। তবে পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এছাড়া ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।
ভাঙন আতংক নিয়ে এই গ্রামের মানুষ অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গ্রামের মানুষ আতংকে জীবনযাপন করছে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক ইতিমধ্যে লৌহজং উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বেড়ে যায়। বিপদসীমার নিচে পানি থাকলেও পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গ্রামগুলোতে পানি ঢুকে গেছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!