• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে যশোরে ছয় গ্রামের বাসিন্দা


যশোর সংবাদদাতা ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭, ০৭:০০ পিএম
পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে যশোরে ছয় গ্রামের বাসিন্দা

যশোর: শহরতলীর ছয় গ্রামের বাসিন্দারা পল্লী বিদ্যুতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করা এলাকাটিতে পল্লী বিদ্যুৎ আগ্রাসন করায় প্রথমে তারা ডিসির কাছে স্মারকলিপি, এরপর উচ্চ আদালতে রিট করেছেন। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সর্বশেষ প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ‘পল্লী বিদ্যুৎ আগ্রাসন প্রতিরোধ কমিটি’র উদ্যোগে রোববার দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুহুল আমিন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যশোর শহরতলীর শেখহাটি, বিরামপুর, পাগলাদাহ, নওদাগ্রাম, তরফ নওয়াপাড়া ও কিসমত নওয়াপাড়া এলাকায় ১৯৬৩ সাল থেকে ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহে এলাকার মানুষ সন্তুষ্ট। কিন্তু হঠাৎ করে পল্লী বিদ্যুৎ এ এলাকাটিতে আগ্রাসন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গঠন করা হয়। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সমিতি কাজ করলেও গ্রামাঞ্চলের অর্ধেক এখনো বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত। অথচ, তাদেরই শহরে বিদ্যুৎসেবা প্রদানকারী সংস্থার বিতরণ লাইন হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

আন্দোলনকারীদের একজন মুক্তিযোদ্ধ আফজাল হোসেন দদুল জানান, সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্ব বহন করা এলাকাটিতে ৫৪ বছর ধরে ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এ সেবায় তারা সন্তুষ্ট। তাই পল্লী বিদ্যুতের আওতায় তারা যেতে চায় না। এছাড়া পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার পুড়ে গেলে তা গ্রাহকদেরই মোটা অংকের টাকা গুণতে হয়। পুনঃসংযোগ পেতেও অনেক সময় লাগে। এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক অনিয়মসহ লোডশেডিং সমস্যা তো আছেই। এই পল্লী বিদ্যুতের আওতায় এলে তাদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, আগ্রাসনের প্রতিবাদে আসাদুল আলম ঝন্টু বাদী হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেছেন। যা শুনানির জন্য আপেক্ষমান। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায়ও আগ্রাসন থেমে নেই। তাই মামলা পরিচালনার পাশাপাশি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মুক্তা ইসলাম, সাজিদুল হক রিপন, সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, সমাজসেবক শফিউল ইসলাম, শিক্ষানুরাগী এসএম মোস্তাফিজুর রহমান কবীর, আসাদুল আলম ঝন্টু, মোকলেছুর রহমানসহ এলাকার প্রায় একশ’ বাসিন্দা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!