• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাইপলাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮, ০৬:৪৩ পিএম
পাইপলাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি

ঢাকা: ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্প, বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন ও টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই পাইপলাইনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।

এই পাইপলাইনের ১২৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে, আর ভারতের অংশে পড়েছে বাকি ৫ কিলোমিটার। ২২ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন তেল সরবরাহ করা যাবে।

তবে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রথম তিন বছর ২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এ সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে শেষ পাঁচ বছর ৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের আমদানি এই পাইপলাইনের মাধ্যমে আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ঋণের টাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক একটি পরিবারের মতো।

তিনি বলেন, মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবধানের মাথায় বাংলাদেশের সঙ্গে এটি দ্বিতীয় ভিডিও কনফারেন্স। ভৌগোলিকভাবে আমরা প্রতিবেশি দেশ। কিন্তু চিন্তা-ভাবনার দিক থেকে আমরা পরিবার। সুখে-দুঃখে একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়ানো। বিকাশে একজন আরেকজনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়া। সীমান্ত বিরোধ এবং উন্নয়নের জন্য নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপসহ সব বিষয়ে আমরা এগিয়ে গেছি। এসব কিছুর ক্রেডিট আমি আপনার (শেখ হাসিনা) সঠিক নেতৃত্বকে দিতে চাই।

মোদি বলেন, আজ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের কাজ শুরু হলো। উন্নয়ন ও বিকাশের নতুন অধ্যায় যুক্ত হলো। বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আমাদের সম্পর্ককেও আরও উন্নত করবে এই পাইপলাইন। কাজ শেষ হলে এটি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে দিয়ে দেয়া হবে।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেল লাইন নির্মাণ কাজ, কুলাউড়া-শাহবাজপুর বিভাগের রেলপথের সংস্কার প্রকল্প এবং বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে ভারত থেকে ভেড়ামারায় নবনির্মিত ৫শ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক কেন্দ্রের দ্বিতীয় বন্টকের উদ্বোধন করেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!