পাবনার বেড়া উপজেলার দক্ষিণপাড়ায় একটি ভেজাল গুঁড়া মরিচ ও হলুদ তৈরির কারখানায় র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিককে কারাদণ্ড ও অর্থ জরিমানা করেছে। কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তির নাম দেলোয়ার হোসেন (৪০)। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেজাল গুঁড়া মরিচ ও হলুদ উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছিল।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে র্যাব প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলা হয়েছে। র্যাব-১২ সিপিসি-২ পাবনা ক্যাম্পের ডিএডি মো. এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল উক্ত কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্ট কাঠের গুঁড়া, ধানের তুষ, পঁচা মরিচ ও বিভিন্ন প্রকার রঙ মিশিয়ে ভেজাল মরিচ ও হলুদের গুঁড়া প্রস্তুত করতে দেখতে পায়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ভেজাল মরিচ ও হলুদের গুঁড়া প্রস্তুত ও বিপণনের অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমান ওই কারখানার মালিক মো. দেলোয়ার হোসেনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪২ ধারার অপরাধে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর ৭ (২) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতা বলে অত্র আইনের ৪২ ধারায় আসামিকে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা, জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন।
এছাড়াও মোবাইল কোর্ট কর্তৃক উক্ত প্রতিষ্ঠান হতে ২০ বস্তা ভেজাল মরিচের গুঁড়া, ২০ বস্তা পঁচা মরিচ ও ২০ বস্তা ভেজাল হলুদের গুঁড়া জব্দ করত: ধংস করা হয়। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ভেজাল মসলা কারখানার মালিক মো. দেলোয়ার হোসেনকে পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর
আপনার মতামত লিখুন :