• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফের আলোচনায় সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা!


বিনোদন প্রতিবেদক আগস্ট ৮, ২০১৭, ০১:১০ পিএম
ফের আলোচনায় সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা!

ঢাকা : নব্বই দশকে ঢালিউডে সাড়া জাগানো চিত্রনায়ক সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনক মৃত্যু হয় তার। অনেকেরই ধারণা, স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার মিলে সালমান শাহকে হত্যা করেছে। দীর্ঘ ২১ বছর পর সালমান হত্যায় নতুন মোড় নিল!

সোমবার (৭ আগস্ট) এক ভিডিওবার্তায় সালমান শাহ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রুবি দাবি করেছেন, রুবির চাইনিজ স্বামী ও সালমানের স্ত্রী সামিরাই বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত! রুবির এ কথার পর, দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। যদিও রুবি এই ভিডিওটি বিদেশে বসে করেছেন।

মাত্র ২১ বছর বয়সে মা নীলা চৌধুরীর বান্ধবীর মেয়ে সামিরাকে বিয়ে করেন সালমান শাহ্ (শাহরিয়ার ইমন চৌধুরী)। সামিরার বাবা জাতীয় দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার-অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা। মা থাইল্যান্ডের নাগরিক চট্টগ্রামের বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী লুসি।

সালমানের মৃত্যুর পর তার সামিরা অনেকটাই আড়ালে চলে যান। সালমানের মৃত্যুর কয়েক বছর পর ব্যবসায়ী মুস্তাক ওয়াইজকে বিয়ে করেন সামিরা। দ্বিতীয় বিয়ের পর দেশ ছেড়ে চলে যান থাইল্যান্ড। সেখানে সামিরার নতুন সংসারে একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে।  

থাইল্যান্ডে সামিরার ছোট দুই বোন ফাহরিয়া হক ও হুনায়জা শেখ তাদের স্বামী সন্তান নিয়ে বাস করেন। সামিরা বাংলাদেশে তেমন আসেন না বললেই চলে।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নব্বইয়ের দশকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুদর্শন নায়কের নাম সালমান শাহ। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র জীবন তার। সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রজগতে পদার্পন করেন সালমান শাহ।

প্রথম ছবিতেই জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হন। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি তাকে। একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে গেছেন। সবারই স্বপ্ন ছিল যে এভাবেই বুঝি সালমান শাহ তার দর্শকদের হিট ছবি উপহার দিয়ে যাবেন কিন্তু সে স্বপ্ন সবার পূরণ হল না। প্রিয় নায়কের অকাল মৃত্যু সবার স্বপ্নকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছে এবং তার মৃত্যু রহস্যটি এখনো অন্তরালে রয়েছে।

বিয়ের পর বেশ ভালোভাবেই কাটছিল সালমান ও সামিরর জীবন সংসার। মায়ের মত সামিরাও বিউটি পার্লারের কাজে বেশ আগ্রহী ছিল এবং ঢাকায় একটি বিউটি পার্লারও খুলেছিল সামিরা।

এদিকে সিনেমায় সালমান শাহর অভিনয়ের দাপট যেন বেড়েই চলেছিল আর এই সময় তার নায়িকা হিসেবে হিট ছিলেন নায়িকা মৌসুমী। কিন্তু তাদের দুজনকে নিয়ে পত্রিকায় কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ কথা লেখা হচ্ছিল, যার কারণে পরবর্তীতে মৌসুমী তার সাথে আর কোন ছবিতে অভিনয় করেননি। তবে বিষয়টি সত্য কিনা তা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ।

এদিকে মৌসুমির পর সালমান-শাবনুর জুটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায় এবং তারা একসাথে প্রচুর ছবিতে কাজ করতে থাকেন। সালমানের সর্বমোট মুক্তিপ্রাপ্ত ২৭টি ছবির ১৪টিতেই তার নায়িকা ছিলেন শাবনুর। স্বাভাবিকভাবেই এই জুটিকে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে-বাইরে কানাঘুষা শুরু হয়। আর এতে করে সালমানের সাথে সামিরার মনোমানিল্য ঘটতে থাকে।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ অকাল মৃত্যুবরণ করেন। তারই এই মৃত্যুর ঘটনাকে অপমৃত্যু বলা হলেও পরবর্তীতে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন সালমানের মা বাবা এবং মা নীলা চৌধুরী সালমানের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন।

কিন্তু তদন্ত করেও কোন সুফল মেলেনি এবং সেটিকে আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই পর্যায়ে পুরো ব্যাপারটি খুবই নোংরা পর্যায়ে চলে যায়। নীলা চৌধুরী অভিযোগ করেন, সামিরার সাথে বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং এ দু’জন মিলে সালমানকে হত্যা করেছে।

সামিয়া পালটা অভিযোগ করেন যে, নীলা চৌধুরীই আজিজ ভাইসহ অনেক পুরুষকে তার বাড়িতে নিয়ে আসত এবং এটা নিয়ে সালমান ও তার বাবা নীলার ওপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন। এছাড়া সামিরা পুরো ঘটনার জন্য সালমান-শাবনুরের প্রেমকেও দায়ী করে।  

সোনালীনিউজ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!