• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বনভোজনের নামে শিক্ষা কর্মকর্তার চাঁদাবাজি!


প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট) মার্চ ২০, ২০১৮, ০৪:৫৫ পিএম
বনভোজনের নামে শিক্ষা কর্মকর্তার চাঁদাবাজি!

বাগেরহাট : জেলার শরণখোলায় বনভোজনের নামে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি দুই শতাধিক শিক্ষকের ১ দিনের প্রশিক্ষণ ভাতার প্রায় ৬০ হাজার টাকা কর্তন করায় উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষকের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে, কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়া বন্ধ করে প্রায় অর্ধশত বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে ভ্রমণে যাওয়ার এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির একাধিক নেতা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৩৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের বিভিন্ন তারিখে উপজেলার ২নং খোন্তাকাটা ও ৪নং সাউথখালী ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষক একদিনের সাব-ক্লাষ্টার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এতে জনপ্রতি সরকারি ২৪০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান পাইক বনভোজনের নামে উভয় ক্লাষ্টারের প্রায় ৬০ হাজার টাকা বাধ্যতামূলক শিক্ষকদের কাছ থেকে কর্তন করে রাখে। পাশাপাশি প্রত্যেক শিক্ষকদের নিকট থেকে আরও জনপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা তোলেন। আদায়কৃত অর্থে সংশ্লিষ্ট  শিক্ষকদের সঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ২১ মার্চ আনন্দ ভ্রমণে গোপালগঞ্জে যাবেন বলে জানা গেছে।

তবে, প্রশিক্ষণ ভাতা কর্তন ও বাধ্যতামূলক বনভোজনের চাঁদা আদায়ের বিষয়টি মিজানুর রহমান পাইকের এক ধরনের চাঁদাবাজি বলে মনে করেন ভুক্তভোগীদের অনেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, চাঁদা দিতে কেউ অনিহা প্রকাশ করলে তাকে ওই শিক্ষা কর্মকর্তার রোষানলে পড়ার আংশকা রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রত্যেকের ৭০০ টাকা করে দিতে হয়েছে। অপরদিকে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জোর করে টাকা নিয়ে স্কুল বন্ধ রেখে, আনন্দ ভ্রমণে যাওয়ার বিষয়টি তিনি মাসিক সভায় বিরোধীতা করলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। যে কারণে ওই দিন উপজেলার সকল স্কুল বন্ধ থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয় সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান পাইক প্রশিক্ষণের টাকা কর্তনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, দুই ক্লাষ্টারের শিক্ষকদের উদ্যোগে বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। তবে, ২১ মার্চ তারিখটি পরিবর্তন হতে পারে। অন্যদিকে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!