• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে দুর্গতদের স্বপ্ন


গাইবান্ধা প্রতিনিধি জুলাই ১২, ২০১৭, ১০:৩৭ এএম
বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে দুর্গতদের স্বপ্ন

গাইবান্ধা: ক্রমেই বাড়ছে বন্যার পানি। বানের দুর্ভোগের সাথে নদী ভাঙন যুক্ত হয়ে দিনকে দিন নদনদীর তীরে বসবাসকারী মানুষের দুর্দশার মাত্রা দ্বিগুণ হচ্ছে। ভাঙনে চালচুলো সর্বহারা মানুষের পুনর্বাসন তো দুরের কথা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার মতো খড়কুটো হয়েও পাশে দাঁড়ায়নি কেউ।

এক রাতের ভাঙনে আফরোজা বেওয়ার ঝুপড়ি ঘরটিও রক্ষা পায়নি ব্রহ্মপুত্র নদের কবল থেকে। বাধ্য হয়ে কামারজানি গো-ঘাট গ্রামের স্বামীর ভিটে ছেড়ে ছেলেমেয়েদের নিয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে পা বাড়িয়েছেন।

বিদায় বেলায় ছেলে বউ আর শাশুড়ির কান্নায় শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোঘাট গ্রাম। আফরোজার মতো ভিটেমাটি হারা আরো অনেককেই দীর্ঘদিনের সামাজিক বন্ধন ছিন্ন করে পোটলা পুটলি নিয়ে ছুটতে হচ্ছে আশ্রয়ের সন্ধানে।

ব্রহ্মপুত্রের আঘাতে সাজানো গোছানো একেকটি সংসার আর স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের অব্যবস্থাপনা আর গাফিলতিকে দায়ী করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

তবে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা বললেন, ভাঙন ঠেকানোর জন্য তাদের চেষ্টার কোন কমতি নেই।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, কামারজানির ভাঙন বেশ কিছুদিন ধরেই আছে এবং আমরা ওখানে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।

গত চারদিনে সদরের কামারজানি, ফুলছড়ি উপজেলার ফজলুপুর ও উড়িয়া ইউনিয়নে দেড় শতাধিক পরিবার ভাঙনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে।

ভাঙন প্রতিরোধের জন্য জরুরী প্রতিরক্ষার নামে লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও ভাঙন ঠেকাতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। অন্যদিকে বাসস্থানহারা অসহায় এই মানুষগুলোকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ না নেয়ায় দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!