• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭, ০৮:৪১ পিএম
বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন বঙ্গবন্ধু

ফাইল ফটো

ঢাকা: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব সময়ই নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করতেন এবং তিনি নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই স্বাধিকার ও ভাষা আন্দোলন গড়ে তুলে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।’

তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে একটা গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলেছেন।’

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর.সি মজুমদার লেকচার থিয়েটারে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবদুল বারী উকিলের এক আদর্শিক রাজনীতির মূর্ত প্রতীক’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

ভাষা সৈনিক আবদুল বারী উকিল ফাউন্ডেশন উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আনিসুল হক বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কারণে পাকিস্তান আমলে আওয়ামী লীগকে কেউ সন্ত্রাসী দল বলতে পারেন নাই। পাকিস্তান সামরিক আইন দ্বারা আন্দোলন বার বার বাধাপ্রাপ্ত হলেও কোন সময়ই বঙ্গবন্ধু তার পথ ছেড়ে বিচ্যুত হননি। তিনি শেষ পর্যন্ত এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য লড়াই করে গেছেন এবং আমাদেরকে একটি ভূখণ্ড, একটি মানচিত্র ও একটি দেশ উপহার দিয়ে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই সংগ্রামের সময়ে যারা সঙ্গী তার ছিলেন, তার মধ্যে আবদুল বারী উকিল অন্যতম। তিনি অসুস্থ্ অবস্থাতেও দেশের জন্য কাজ করেছেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল বিদেশের একটি আদালতে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত হবে এটা আমাদের গর্বের বিষয় নয়, এটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। যদিও দলটি তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য এখন সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ বা আওয়ামী লীগ করাটা খুব কঠিন ছিল। কারণ পাকিস্তান আমলে যারা আওয়ামী লীগ করতো তাদের অনেক নির্যাতন পোহাতে হতো। সেসময় যারা আওয়ামী লীগ করতো তাদের ঠিকানা ছিল জেলখানা। সরকারের বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই জেলখানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হতো। সেটাকে সহ্য করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কথা বলা কঠিন ছিল। আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ ও সে সময়কার পরাধীন পাকিস্তানের মধ্যে বিরাট পার্থক্য আছে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদেরকে বুঝতে হবে বঙ্গবন্ধু ও তার সহযোগিদের চিন্তা, কল্পনা ও কাজ-কর্মে তারা শুধু আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশকে দেখতেন। তাই তাদের অনুসরণ করতে হবে। কারণ তারা অনুসরণীয় পুরুষ। তাহলে বর্তমানে যারা রাজনীতি করছেন তারা দেশের জন্য যথেষ্ট অবদান রাখতে পারবেন।

আনিসুল হক বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করছেন। আমার মনে হয় আপনারা প্রত্যেকে তার সৈনিক এবং সে কারণেই তার হাতকে শক্ত করার জন্য আপনারা এসব অনুকরণীয় পুরুষের জীবনের আদর্শগুলো পড়ে, তার যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্যে, পৌঁছাতে আপনারা নিশ্চয়ই অবদান রাখবেন। তিনি বলেন, ওনাদের রাজনীতিতে কিন্তু কোন লোভ-লালসা ছিল না। সেটা বই পড়লে বোঝা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা পিছিয়ে গেছি কেন সেটাও বোধ হয় ভেবে দেখার সময় এসেছে। আমরা যে কারণে পিছিয়ে গেছি তা হলো- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করার পর দীর্ঘ ২১ বছর আমরা একটি বেআইনি শাসনের মধ্যে ছিলাম। যে শাসন বাংলাদেশকে মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি শেখ হাসিনার পেছনে থাকি তাহলে বাংলাদেশ একটা মর্যাদার দেশ, একটা উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে। তাই আমরা কোন সন্ত্রাসী দলের কবলে আর যেন না পড়ি সেই চিন্তা রাখতে হবে এবং জনগণকে সাথে নিয়ে আবারো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে হবে।

ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক শাহনাজ বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, পর্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!