• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাদ পড়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতির রিট নিষ্পত্তি


আদালত প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭, ০৬:৩১ পিএম
বাদ পড়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতির রিট নিষ্পত্তি

ঢাকা: স্থায়ীভাবে নিয়োগ না দেয়ার বৈধতা  চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর করা রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।

রোবাবর (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২ বছর অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পরও  স্থায়ী  নিয়োগ না দেয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রোবাবর (১২ ফেব্রুয়ারি) রিট আবেদনটি করেন বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলী।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কিছু পর্যবেক্ষণসহ আপিল বিভাগে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আদালত রিটটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি।

২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীসহ ১০ জনকে দু’বছরের জন্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। তারা ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শপথ নেন। এদের মধ্যে বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী সম্প্রতি মারা যান। এ অবস্থায় অপর ৯ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পাঠান প্রধান বিচারপতি।
এদের মধ্যে বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীকে বাদ দিয়ে বাকি ৮জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এ বিষয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ৮ জন স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

এ অবস্থায় বাদপড়া বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী স্থায়ী নিয়োগ পেতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন।

এ বিষয়ে মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আদালত কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়ে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন। এতে আমি মনে করি আমাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, এর আগে অতিরিক্ত ১০ বিচারকের বিষয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, বিচারক নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ প্রাধান্য পাবে। তবে সুপারিশকৃত বিচারপতির বিষয়ে যদি যোগ্যতা সংক্রান্ত কোনো আপত্তি থাকে তাহলে নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাবে। এক্ষেত্রে অযোগ্যতার বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

এ আইনজীবী আরও বলেন, এর আগে বাদপড়া বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের আবেদনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়টিতে (বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলীর আবেদন) হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এটা আপিল বিভাগেই নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!