• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিটকয়েন নিয়ে ফের সতর্ক নোটিশ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭, ০৯:১০ পিএম
বিটকয়েন নিয়ে ফের সতর্ক নোটিশ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা: ক্রিপ্টো-কারেন্সির মধ্যে অন্যতম হল বিটকয়েন। ইন্টারনেট জগতে অনেক দেশেই বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন চলছে মুদ্রা হিসেবে। কিন্তু এই বিটকয়েনকে লেনদেনের মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ক্রিপ্টো কারেন্সি বিটকয়েনে লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে।

প্রায়ই শোনা যায় আন্তর্জাতিক হ্যাকাররা বিভিন্ন কম্পিউটার হ্যাক করে মুক্তিপণ দাবি করছে আর সে মুক্তিপণ পরিশোধ করতে বলা হয় বিটকয়েনে। অনলাইনে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন করার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক।

এক্ষেত্রে বিটকয়েনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি সাধারণ মানুষের নজরে আনার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রসঙ্গত, বিটকয়েন এক ধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি বা ভার্চুয়্যাল মুদ্রা। মুদ্রাটির দাম ওঠা-নামার মধ্যেই রয়েছে। যদিও বাস্তবে এর অস্তিত্ব নেই। ইন্টারনেট সিস্টেমের মাধ্যমে প্রোগ্রামিং করা আছে যেটি চাইলে কেনা যায়। ইন্টারনেট সিস্টেমকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি এটি গড়ে তুলেছে।

অর্থনীতিবিদদের ভাষায় এটা একধরনের জুয়াখেলার মতো, যেটার ভিত্তিতে হয়তো টাকা খাটিয়ে লাভজনক কিছু করা যেতে পারে। সেজন্য অনেক মানুষ সেদিকে আকৃষ্ট হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ইস্যু করে না বিধায় এর বিপরীতে আর্থিক দাবির কোন স্বীকৃতিও নেই। ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইনের লঙ্ঘন হতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে।

এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে বলে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উল্লেখ করেছে।

বাজারের স্বাভাবিক মুদ্রার মতো বিটকয়েন দিয়ে পণ্য বা সেবা কেনা যায়। কোনও ব্যক্তির কাছে এধরনের পণ্য বা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা থাকলে সে চাইলে বিটকয়েনর বিনিময়ে সেটি বিক্রি করতে পারবে। অনলাইনে যেভাবে আমরা ই-পেমেন্ট সিস্টেমে কেনাকাটা করছি সেভাবে বিটকয়েনের মাধ্যমে অনলাইনে কেনা-কাটা করা সম্ভব।

সম্প্রতি দাম বেড়ে গিয়েছে এটির। কয়েকদিন আগে এর দাম ছিল এক হাজার ডলার। তারও আগে ছিল একশো ডলার। একবছরের মধ্যে একশো থেকে এক হাজার ডলারে দাম উঠে যায়। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে এর দাম উঠে গেছে ১৯ হাজার ডলারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হঠাৎ করেই বিনিয়োগকারীরা সরে গেলে পড়ে যাবে মুদ্রার দাম। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন সাধারণ মানুষ।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!