বিয়ের দাবি করায় তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা!

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক নামক প্রতারকের দুলাভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান নেয়া প্রেমিকাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত তরুণীর নাম খাদিজা খাতুন (১৮)। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ধরজামতৈল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে । নিহত খাদিজা এনায়েতপুর থানার খুকনী ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রামের আনছার আলীর মেয়ে। তিনি একটি সুতার দোকানের শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাদিজার সঙ্গে সুতার দোকানের কর্মচারী ধরজামতৈল গ্রামের মো. ইউসুফ আলীর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি খাদিজা ইউসুফকে বিয়ের কথা বললে তিনি খাদিজাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে খাদিজা দোকানের কাছে ইউসুফের দুলাভাইয়ের বাড়িতে যান। ইউসুফ ওই বাড়িতেই ছিলেন।

এ সময় ওই বাড়ির লোকজন খাদিজাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ফেলে রাখেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে খাদিজার বাবা আনছার আলী গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে উদ্ধার করে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধরজামতৈল গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন (৬২), রফিকুল ইসলাম (৩০), রমজান আলী (২৫), এনায়েতপুরের ঝাউপাড়ার ভোলা মিয়া (৩০) ও ইসমাইল হোসেনকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ইউসুফ ও তাঁর দুলাভাই পলাতক।

নিহত খাদিজার ভাই সবের আলী বলেন, খাদিজাকে তাঁরা পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রাথমিক সুরতহালে লাশের গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কালো চিহ্ন দেখা গেছে। এ ঘটনায় নিহত তরুণীর ভাই সবের আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আটক পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে মামলার প্রধান আসামি এখনো পলাতক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম