ঢাকা: নানা নাটকীয়তা ও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
মঙ্গলবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা) সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের পাঁচ তারকা ক্যাপেলো হোটেলে বৈঠকে বসেন তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণই হতে যাচ্ছে ট্রাম্প-কিম বৈঠকের মূল ইস্যু। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অর্থনৈতিক গ্যারান্টি ও অবরোধ প্রত্যাহার চায় উত্তর কোরিয়া।
বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার দু’দেশের নেতা সিঙ্গাপুরে পৌঁছান। উঠেন আলাদা হোটেলে। সিঙ্গাপুরের বিলাসবহুল পাঁচ তারকা সেইন্ট রেজিস হোটেলে উঠেন কিম। আর পাঁচ তারকা ডুলেক্স সাংগ্রি-লা হোটেলে উঠেন ট্রাম্প। দুই হোটেলের মধ্যে দূরত্ব ৭৫০ মিটার।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাদের বহু প্রত্যাশিত এই বৈঠকের ব্যাপারে তার মধ্যে ‘শুভ অনুভূতি’ বিরাজ করছে। সোমবার সকালে এক টুইটে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের ‘আবহে উত্তেজনা বিরাজ করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আশা, এই শীর্ষ বৈঠকের মধ্য দিয়ে একটি প্রক্রিয়া শুরু হবে যা শেষ পর্যন্ত কিমের পরমাণু অস্ত্র ত্যাগে গিয়ে ঠেকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সাল থেকে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে মারাত্মক শত্রুতা চলে আসছে। দুই শত্রু দেশের নেতাদের মধ্যে আসন্ন বৈঠককে সে কারণে ঐতিহাসিক বলে গণ্য করা হচ্ছে।
মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে বৈঠকটি করে আদৌ কোনো লাভ হবে কিনা – তা নিয়ে বিশ্বজুড়েই সন্দেহ যেমন প্রবল, আশাবাদী হওয়ার কারণও দেখছেন অনেক বিশ্লেষক।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :