• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ ২৮ দিনে


অর্থনৈতিক প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৯, ২০১৭, ০৯:৪০ পিএম
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগ ২৮ দিনে

ঢাকা: দেশের ব্যবসায়িক পরিস্থিতির উন্নয়নে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সময় ৯৫ ভাগ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহের বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও ২৮ দিনের মধ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রতিশ্রুতি দিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আহমদ কায়কাউস।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) হবিগঞ্জের বাহুবলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) এক কর্মশালায় এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আমাদের এখানে এত অসুবিধা, তা আগে বুঝিনি। এখানে এসে আলোচনা ও হিসাব করে দেখলাম, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার সময় আমরা ২৮ দিনে নিয়ে আসতে পারি। ঢাকা ফিরেই এর বাস্তবায়নে কাজ শুরু করব। বিদ্যুৎসচিব অবশ্য বলেছেন, তিনি যে ২৮ দিন সময়ের কথা বলেছেন, তার গণনা শুরু হবে আবেদনকারীর সব কাগজপত্র পাওয়ার পর। এ জন্য আবেদনকারীদের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র আগেই জমা দিতে বলেন তিনি।

আলোচনার ফাঁকে বিদ্যুৎসচিব ‘ডুয়িং বিজনেস’ প্রতিবেদন নিয়ে তার প্রতিক্রিয়ার কথা জানান। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ‘এক্সট্রিম কেইস’ ধরে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ঠিক করেছে। ‘সাধারণত সংযোগ পেতে বাংলাদেশে এত সময় লাগে না। কোনো কোনো সময় আবেদনকারীরা দরকারি কাগজপত্র ছাড়াই চলে আসে, তখন তাদের সেসব কাগজপত্র আনতে বলা হয়। এতে সময় লাগে। বিডার উদ্যোগের পর সংযোগ দেয়ার সময় ৯৫ ভাগ কমিয়ে আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করলেও দেশের বিদ্যুৎ সংকটের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহে এখনো ‘বিশাল ঘাটতি’ রয়েছে।

এদিকে বিশ্বব্যাংকের ‘ব্যবসায় পরিবেশ সূচক’ প্রকাশ করে গত বছর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে গড়ে সময় লাগে ৪২৮ দশমিক ৯ দিন। আর যে টাকা খরচ হয়, তা মাথাপিছু আয়ের ২৮৬০ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। সর্বশেষ সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দেখানো হয়েছে ১৭৬ নম্বরে। কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান ছাড়া সার্কভুক্ত সব দেশের অবস্থানই বাংলাদেশের ওপরে। মোট ১১টি ক্ষেত্রের পরিস্থিতি বিবেচনা করে তৈরি এ সূচকে বিদ্যুৎ সংযোগপ্রাপ্তির সুযোগের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আরো পেছনে, ১৮৭ নম্বরে। ২০২১ সালের মধ্যে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৬ ধাপ এগিয়ে কী করে প্রথম ১০০ দেশের তালিকায় আনা যায়, তার কর্মপরিকল্পনা সাজাতে এই কর্মশালার আয়োজন করেছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হবিগঞ্জের একটি রিসোর্টে দুই দিনের এই কর্মশালায় অংশ নিচ্ছেন। বিডার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যুৎসচিব বলেন, এই কর্মশালা তাদের ‘চোখ খুলে’ দিয়েছে। কর্মশালার সঞ্চালক বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ সচিবের ঘোষণাকে সাধুবাদ দিয়ে বলেন, এতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!