• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভন্ড প্রেমিকের খপ্পরে প্রতিবন্ধী তরুণী, অতঃপর....


কক্সবাজার প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৪, ২০১৭, ০৭:৫০ পিএম
ভন্ড প্রেমিকের খপ্পরে প্রতিবন্ধী তরুণী, অতঃপর....

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার: ভালোবাসা কোনো অপরাধ নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভালোবাসার কারণে জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। তেমনি একটি ঘটনার শিকার কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী তরুণী নুরুন্নাহার। গার্মেন্টে চাকরি করতে গিয়ে শফিউল আলম নামের এক যুবকের প্রেমে পড়ে নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে এখন দিশেহারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোটবেলায় পায়ে আঘাত পেয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়া নুরুন্নাহার ভাইদের সংসারে বোঝা হয়ে উঠেছিলেন। এক পর্যায়ে ভাইদের সংসার ছেড়ে মহেশখালী থেকে চট্টগ্রাম শহরে চলে যান ওই তরুণী। সেখানে গিয়ে গার্মেন্টে চাকরি করে কিছুটা স্বচ্ছলতা আসতে থাকে। এমন সময় পরিচয় হয় শফিউল ইসলামের সঙ্গে (৩৪)।

এক পর্যায়ে শফিউল ওই তরুণীর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নুরুন্নাহারের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। এভাবে দুই মাস কাটানোর পর গত ১৮ নভেম্বর বিয়ের অজুহাতে তারা চকরিয়ায় চলে আসে। তখনই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।

সূত্র আরো জানায়, চকরিয়ায় আসার পর নুরুন্নাহারের দেখা হয় তার দুলাভাই রহমত উল্লাহর সঙ্গে। তিনি সবকিছু রহমত উল্লাহকে খুলে বললে রহমত উল্লাহ ও নুরুন্নাহারকে প্রতারক শফিউল আলম নিজের গ্রামের বাড়ি চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রিংভং এলাকায় আসেন।

সেখানে যাওয়ার একদিন পর শফিউল আলমের স্বজনদের কাছে খোঁজ নিতে গিয়ে ভয়ঙ্কর তথ্য পান, এসময় চোখেমুখে অন্ধকার দেখেন ওই তরুণী। এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ওই তরুণী জানতে পারেন শফিউল শুধু বিবাহিতই নয়, তার এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আছে।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা শফিউল আলমকে আটক করে। ওইদিনই বিকেলে উভয়পক্ষের ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে দুলাভাই রহমত উল্লাহর বাড়িতে সালিশ বসে। সালিশে প্রতারক শফিউলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তার এক নিকটাত্মীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জয়নাল আবেদীন সোনা মিয়া মেম্বার।

সালিশে খোঁজখবর না নিয়ে সম্পর্খে জড়ানোয় ওই তরুণীকে দোষারোপ করা হয়। তবে বিয়েতে উভয়পক্ষ রাজি থাকলেও সংসারের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দিহান হওয়ায় বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন সালিশদাররা। এছাড়া প্রতারণার অভিযোগে শফিউল আলমের বিরুদ্ধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে সালিশ নিষ্পত্তি করা হয়। ওই সময় সালিশে উভয়পক্ষ থেকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়।

এদিকে সালিশের পরদিনই ২০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও সেই ২০ হাজার টাকা না দিয়েই সটকে পড়েন শফিউল আলম।

প্রতারিত নুরুন্নাহার ও দুলাভাই রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, সালিশের এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সেই ২০ হাজার টাকা আর পাওয়া যায়নি।

তারা বিষয়টি ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও সালিশদার ইউপি সদস্য রফিককে অবহিত করেন। কিন্তু ওই টাকা আদায়ে ব্যর্থতার কথা জানিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বলেন তারা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!