• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভবন ভাঙতে আরও এক বছর সময় চায় বিজিএমইএ


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৩১, ২০১৭, ০৫:৫৭ পিএম
ভবন ভাঙতে আরও এক বছর সময় চায় বিজিএমইএ

ঢাকা: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর বহুতল ভবন ভাঙতে আরও সময় চেয়ে সম্প্রতি আপিল বিভাগে একটি আবেদন করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিএমইএ’র আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম বলেন, বিজিএমইএ ভবন থেকে সরতে আরও এক বছর সময় চেয়েছে।

কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, রাজউক কেবল জমি দিয়েছে, এখন সবকিছু প্রক্রিয়াধীন আছে। তাই সময় চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে। চলতি বছরের ১২ মার্চ বিজিএমইএকে ভবন থেকে উঠতে ছয় মাসের সময় দেয় আপিল বিভাগ। বিজিএমইএ এর তিন বছরের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওইদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ভবন ভাঙতে ছয় মাস সময় দেন।

সেসময় আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। তখন আপিল বিভাগ বলেছিলেন, ২০১১ সালে এ বিষয়ে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। এরপর ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগ তা বহাল রেখেছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন সরানোর কোনও চেষ্টা করেননি। এরপর ছয়মাসের সময় দিয়ে আবেদনটির নিষ্পত্তি করে দেন।

গত ৫ মার্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে কত সময় লাগবে তা ৯ মার্চের মধ্যে আদালতে আবেদন করতে বলেছিলেন আপিল বিভাগ। ওইদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রিভিউ আবেদন খারিজ করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায় বহাল রাখেন।

১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভবন নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন উদ্বোধন করেন সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে ভবনটি বিজিএমইএ’র প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

কিন্তু রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইদিনই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনির উদ্দিন। পরদিন ০৩ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) রুল জারি করেন।

এ রুলের ওপর শুনানিতে আদালতকে আইনি সহায়তা দিতে ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সাতজন আইনজীবীকে ‘আদালতের বন্ধু’ (আমিকাস কিউরি) নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সাত আইনজীবী হলেন, বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আখতার ইমাম, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, মনজিল মোরসেদ ও পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ তার রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও নির্দেশ দেন বিজিএমইএকে।

একই বছরের ৫ এপ্রিল বিজিএমইএ’র আবেদনে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও বাড়ান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!