• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভরাট নদীর বুকে ফসলের আবাদ


নীলফামারী প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২, ২০১৬, ০২:৫০ পিএম
ভরাট নদীর বুকে ফসলের আবাদ

নীলফামারী : দীর্ঘদিন নদী খনন না করায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের সব নদীগুলো। ফলে এলাকার মানুষ নদীর বুকে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করছেন। একশ্রেণির প্রভাবশালী মানুষ নদী দখল করে গড়ে তুলছেন অবকাঠামো। এতে করে বর্ষাকালে নদীর দুই কূলে বন্যার পানি ঢুকে আবাদি ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা শহরের পশ্চিমে খড়খড়িয়া পূর্বদিকে চিকলী ও মাঝখানে বাকডোকরা নদী বয়ে চলেছে। একসময় এসব নদীতে সারা বছর পানি থাকতো এবং নৌকা চলাচল করতো। এসব নদীর পানি দিয়ে এলাকার লোকজন চাষাবাদ করতেন এবং জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মাঝে মধ্যে পলো বাওয়া হতো কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ মিলে।

দীর্ঘ প্রায় ২৫/৩০ বছরেও এসব নদী খননের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে শুষ্ক মৌসুমে বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। কোথাও গ্রামের শিশু-কিশোররা ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার মাঠ বানিয়েছেন। নদীর বুকে চাষাবাদ করা হচ্ছে বীজতলা, ধান, গম, ভুট্টা, রসুন, পেঁয়াজ প্রভৃতি।

উপজেলার কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বোতলাগাড়ি, বাঙালিপুর ইউনিয়ন ও সৈয়দপুর পৌর এলাকায় উল্লেখযোগ্য পুকুর দীঘি ও বিল নেই। যেখানে সারাবছর পানি থাকে। এছাড়া এবছর বন্যা না হওয়ায় সব ধরনের মাছও আসতে পারেনি। ফলে দেশি মাছের চরম আকাল দেখা দিয়েছে। এ কারণে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ এ শব্দটিও ভুলতে বসেছে এখানকার মানুষ।

সরজমিনে দেখা গেছে, এসব নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। তারা প্রথমে অস্থায়ীভাবে মাচাং তৈরি করে পরবর্তীতে পাকা ঘর তুলছেন। ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। কোথাও কোথাও নদী খালে পরিণত হয়েছে। বর্ষাকালে এসব নদীর পানি উপচেপড়ে আশেপাশের আবাদি ক্ষেত ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে।

সৈয়দপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ মোশারফ জানান, শুষ্ক মৌসুমে কোন নদীতেই পানি নেই। ফলে জেলেরা পেশা বদল করে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। পুকুরে মাছ চাষ করে কৃষকরা শ্যালো মেশিনের সাহায্যে প্রতিদিনই পুকুরে পানি দিয়ে মাছ চাষ করছেন বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!