ঢাকা: বাগেরহাটে বড় ভাইকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছোট ভাইয়ের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছে হাই কোর্ট। এছাড়া অপর দুই আসামির সাজা বহাল রেখেছে আদালত।
সোমবার (২০ নভেম্বর) ওই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস এবং আসামিপক্ষে ছিলেন ফজলুল হক ভুইয়া ও সাইদুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৩ আক্টোবর রাতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় ভাবী পারভীনের সঙ্গে দেবর মাহমুদ শেখের পরকীয়ার জেরে ঘরের সিঁদ কেটে বড় ভাই এসকেন্দারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এসময় ঘাতকদের সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশি আসাদ তালুকদার।
এ ঘটনার পরদিন ২৪ আক্টোবর নিহতের বাবা মোজ্জাম শেখ বড় ছেলে বউ পারভীন, ছোট ছেলে মাহমুদ শেখ ও আসাদ তালুকদারসহ চারজনকে আসামি করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১১ সালের ২৮ জুলাই বাগেরহাটের অতিরিক্তি জেলা দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম মাহমুদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং পারভীন খাতুন ও আসাদ তালুকদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন চেয়ে আবেদন), রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল ও আপিল শুনানি শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করে হাই কোর্ট।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ বলেন, আদালত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং বাকি দুজনের সাজা বহাল রেখেছে।
তিনি বলেন, যেহেতু এ ঘটনার মূল আসামি পারভীন খাতুন। তাকে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাকজ্জীবন দিয়েছেন। তাই বিচারের সমতা আনতে এবং ন্যায় বিচারের স্বার্থে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাহমুদ শেখের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ।
সোনালীনিউজ/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :