• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভুল চিকিৎসা: রোগিকে দিতে হবে ৯ লাখ টাকা


আদালত প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭, ০২:৫৩ পিএম
ভুল চিকিৎসা: রোগিকে দিতে হবে ৯ লাখ টাকা

ঢাকা: পটুয়াখালির মাকসুদা বেগমকে ভুল চিকিৎসা দেয়ায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা দিতে বাউফলের নিরাময় ক্লিনিরে প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে ক্ষতিগ্রস্থ মাকসুদা বেগমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক।

আদালত আদেশে বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে অপারেশনকারী ভুয়া ডাক্তার অর্জুন চক্রবর্তী দিবে ৫ লাখ। ও নিরাময় ক্লিনিক মালিকপক্ষ দিবে ৪ লাখ টাকা।

ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে মাকসুদা বেগম হাইকোর্টে ক্ষতিপুরণ চেয়ে আবেদন করেন। তিনি তার আবেদনে ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েচিলেন।

গত ২২ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হল গজ!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদউল্লা। এটি দেখে ২৩ জুলাই আদালত আদেশ দেন। আদেশে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন, বরিশাল মেডিক্যালের গাইনি বিভাগের প্রধান এবং নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে তলব করেন। এরপর তারা আদালতে হাজির হন।

আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এরপর সিভিল সার্জন তদন্ত শেষে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, চিকিৎসক হিসেবে রাজন দাসের সনদ জাল। আদালতের আদেশে কথিত রাজন দাস(অর্জুন চক্রবর্তি) এখন কারাগারে রয়েছেন।

মামলার  বিবরণ থেকে জানা যায়, মাকসুদা বেগম পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী। গত মার্চে বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করে মাকসুদা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তখন তার পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন ভুয়া চিকিৎসক রাজন দাশ(অর্জুন চক্রবর্তি) । পরে ১২ জুলাই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মাকসুদার অস্ত্রোপচার হয়। তখন তার পেটের ভেতর থেকে গজ বের করা হয়। এ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!