• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের হামলা, শ্যালিকা নিহত


মেহেরপুর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭, ০৯:৫৭ এএম
শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের হামলা, শ্যালিকা নিহত

মেহেরপুর: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শালা-শালিসহ শ্বশুর পরিবারের আহত চারজনের মধ্যে জাহানারা খাতুন  (৩২)  মারা গেছেন।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত জাহানারা খাতুন গাড়াডোবা গ্রামের জলিবিলপাড়ার মৃত মহাম্মদ আলীর মেয়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে জাহানারার ছোট বোনের স্বামী সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আশাদুল ইসলামের হামলায় চারজন আহত হয়। এ ঘটনায় আসাদুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, মরদেহ রাজশাহী মেডিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসবেন স্বজনরা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছর আগে শ্যামপুর গ্রামের সায়েত আলীর ছেলে আছাদুলের সঙ্গে গাড়াডোব জলিবিল পাড়ার মৃত মহাম্মদ আলীর মেয়ে বানুয়ারা বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের জেরে পাঁচ বছর বয়সী শিশুপুত্র মাসুদকে সঙ্গে নিয়ে বছর দুয়েক আগে পিতার বাড়িতে ফিরে যান বানু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেখানে যায় আছাদুল। দাম্পত্য কলহের জের ধরে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তার শ্যালিকা পারভিনা খাতুন (২৪), শ্যালক ইছহাক আলী (৩৮) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন (৩৩) এবং স্ত্রীর বড় বোন জাহানারা খাতুনকে (৩২) জখম করে। এরপর স্থানীয়রা আশাদুলকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। আহত চারজনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতেল ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই রাতেই জাহানারাসহ দুজনকে প্রথমে কুষ্টিয়া ও পরে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

এদিকে ঘটনার রাতেই নিহতের ছোট বোন বানুয়ারা বাদি হয়ে তার স্বামী আছাদুলকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জাহানারার মৃত্যুতে ওই মামলার সঙ্গে এখন হত্যাকাণ্ডের ৩০২ ধারা যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার ওসি। ওই মামলার আসামি হিসেবে আশাদুলকে শুক্রবার মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করে গাংনী থানা পুলিশ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!