• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়ের দেয়া শাড়ি পরে সংসদে শেখ হাসিনা


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৮, ২০১৭, ১০:৪৩ পিএম
মেয়ের দেয়া শাড়ি পরে সংসদে শেখ হাসিনা

ঢাকা: মেয়ে সায়মা হোসেন পুতুলের দেয়া ৬ হাজার টাকার শাড়ি পরে সংসদে এলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৮ জুন) সংসদে বাজেটের ওপর বক্তব্য দেয়ার সময় পারিবারিক জীবনের একথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বেগুনী রঙের জামদানী ওই শাড়িটি সায়মা কয়েক ঘণ্টা আগেই কিনে এনেছেন ঐতিহাসিক নগরী সোনারগাঁ থেকে।

সংসদে আলোচনায় নিজের সাধারণ জীবনযাপনের কথা বলার সময় মেয়ের উপহারের কথা তুলে বলেন, আজকে আমি একটা শাড়ি পরে এসেছি। আমার মেয়ের কিছু বিদেশি বন্ধু এসেছিল আজ। তারা সোনারগাঁও গিয়েছিল। সেখানে তাঁতীরা তাঁতে কাপড় তৈরি করেন। সেখান থেকে এই শাড়িটা কিনে এনেছে।

শাড়িটার দামের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সাড়ে ছয় হাজার টাকা দাম চেয়েছিল। সেখান থেকে নাকি আবার পাঁচশ টাকা কম নিয়েছে। কম নেয়ার জন্য জামাই বাবাজিকে (স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে) বললাম, পাঁচশ টাকা কম দিলে কেন? পাঁচশ টাকা তো বেশিও দিয়ে আসতে পারতে? সে বললো, কিনতে গেলে তো একটু বার্গেনিং করতেই হবে। আমি এই শাড়িটি পরেই আজকে এসেছি। মেয়ে কিনে নিয়ে এসেছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বললেন, দেশের মানুষের ভালো থাকাই আমাদের বড় চাওয়া। আজকে প্রধানমন্ত্রী আছি, কালকে না থাকলে চলে যাব। গাড়িতেও চড়তে পারি, ভ্যানেও চড়তে পারি, রিকশায়ও চড়তে পারি, পায়েও হাঁটতে পারি। সবই আমরা পারি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমার রাজনীতি ব্যক্তিগত কোনও ভোগ-বিলাসের জন্য নয়, উচ্চাভিলাষের জন্য নয়। আমার রাজনীতি বাংলার জনগণের জন্য। বাবার কাছে আমি সেই শিক্ষাই পেয়েছি। তার কাছ থেকে মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি। মানুষকে ভালোবাসি বলেই তাদের ভালো থাকাটা আমার বড় পাওয়া।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এদেশের মানুষ যেন সুন্দর জীবন পায়, সেটা আমরা চাই। আমরা ক্ষমতাকে কখনও ভোগ-বিলাসের বস্তুতে পরিণত করিনি। ক্ষমতায় এসে কোন ব্র্যান্ডের কাপড় পরবো, কোন ব্র্যান্ডের গাড়িতে চড়বো, কোন দেশ থেকে ফার্নিচার আনবো, কত বড় ঝাড়বাতি ঘরে লাগাবো এসব চিন্তা আমরা কখনও করিনি। বসার চেয়ারকে কতটা ডেকোরেট করব, ওই চিন্তা করি না। বরং ঝাড়বাতি সরিয়ে দিয়েছি। গণভবনে বোধহয় একটা-দু’টো আছে। বাকি সব সরিয়ে দিয়েছি। চেয়ারও বদলে দিয়েছি।

বঙ্গবন্ধকন্যা বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিমানের ফার্স্ট ক্লাসে যাই। আবার যখন থাকব না, ইকনোমি ক্লাসে চড়ব। আমরা সব কিছুর জন্য প্রস্তুত। পিতা-মাতা আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাক; এটাই একমাত্র কাম্য। আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করি বলেই দেশের উন্নতি করতে পারছি। নিজেদের কথা ভাবলে এটা করতে পারতাম না।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!