• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্ব খাতে গ্রাম পুলিশের চাকরি স্থানান্তরে রুল


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮, ০৭:১৫ পিএম
রাজস্ব খাতে গ্রাম পুলিশের চাকরি স্থানান্তরে রুল

ঢাকা: গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল দেয়। একই সঙ্গে গ্রাম পুলিশের চাকরি জাতীয় বেতন কাঠামো অনুসারে চতুর্থ শ্রেণির স্কেলের সমমর্যাদা কেন দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার, অর্থ, জন প্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ৩৪ বিবাদিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

৭০ জন গ্রাম পুলিশের পক্ষে রাজশাহীর পবা উপজেলার সুইসাকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ মো. আব্দুল বারী রিট আবেদনটি করেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোতাহার হোসেন সাজু।

পরে নওশের আলী সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ৫৫ জন গ্রাম পুলিশের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিল আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, গাইবন্ধাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আরও ৭০ জন গ্রাম পুলিশ ও দফাদার রিট আবেদন করেন।

দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে দফাদার ও মহলদার হিসেবে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশের সদস্যদের পক্ষ থেকে সরকারকে একটি উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তার জবাব না পেয়ে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ লাল মিয়াসহ ৫৫ জন গ্রাম পুলিশ হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।

৩ ডিসেম্বর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করা হয়েছিল। দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। এদের মধ্যে দফাদারদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৪০০ টাকা। আর মহলদারদের বেতন ৩০০০ টাকা। গ্রাম পুলিশের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় এই বেতনের অর্ধেক দেয় ইউনিয়ন পরিষদ, বাকিটা যায় সরকারের কোষাগার থেকে।

ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকুরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।

কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় হাই কোর্টে রিট করা হয়।

চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তি, সরকারি বেতন কাঠামোর চতুর্থ শ্রেণির সমমর্যাদা, মানসম্মত পোশাক, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতো রেশন চালু ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান, প্রত্যেক বিভাগে একটি করে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং সন্তানের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে আন্দোলন করেন তারা। শেষ পর্যায়ে গ্রাম পুলিশরা প্রতিকার পেতে উচ্চ আদালতে আসে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!