• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা ইস্যু: আনান কমিশনে সমাধান খুঁজছে ইইউ


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭, ০৮:১২ পিএম
রোহিঙ্গা ইস্যু: আনান কমিশনে সমাধান খুঁজছে ইইউ

ঢাকা: মিয়ানমার থেকে জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন(ইইউ)। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয় রোধে কাজ করবে তারা। রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনেও ভূমিকা রাখবে। আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলেই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে মনে করে ইইউ।

সংস্থাটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ফেডেরিকা মগারিন বলেন, রোহিঙ্গাদের এখন মানবিক সহায়তা দেয়া প্রয়োজন। মিয়ানমারে তাদের পুনর্বাসনে ইইউ কাজ করবে। এজন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কথা বলেছে ইইউ। মিয়ানমার সরকারও ইইউকে সহায়তা করতে রাজি হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইইউ বিশ্বাস করে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করলেই তা সম্ভব। খুব দ্রুত মিয়ানমারে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে দেশটির সরকারের সঙ্গে বসবে ইই্‌উ। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে তা হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মগারিন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিষয়টিকে তারা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে নিয়মিত। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছে সংস্থাটি।

এদিকে অপর এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে ২৯ কোটি ১০ লাখ টাকা সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগেও ২০ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছিল সংস্থাটি।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের কয়েকটি তল্লাশিচৌকিতে উগ্রবাদীদের হামলার সূত্র ধরে রাখাইনে দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর থেকেই প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিকল্পিত দমন অভিযানের বিবরণ দিচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ভিভিয়ান তান সম্প্রতি কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান। গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে প্রায় ৩ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। 

রাখাইন থেকে বেঁচে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, নারী, শিশু, বৃদ্ধ—কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এই রক্তপাত বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আঞ্চলিক শক্তি ও সরকারের প্রতি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তারা। নতুন ও এর আগে আসাদের মিলিয়ে বর্তমানে রোহিঙ্গা সংখ্যা দাঁড়িয়ে দশ লাখের উপরে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/তালেব

Wordbridge School
Link copied!