• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু আইনের অস্পষ্টতার ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৪, ২০১৬, ০৫:৪৬ পিএম
শিশু আইনের অস্পষ্টতার ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট

শিশু আইনের অস্পষ্টতা নিরসনে সরকারের দুই সচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজেসলেটিভ ও ড্রাফটিং উইংয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের সচিবকে এই ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের ডিভিশন বেঞ্চ আজ রোববার (১৪ আগস্ট) এই আদেশ দেয়। এদিকে আজ মামলাটির রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির এই ব্যাপারে বলেন, রায় দেয়ার পূর্বে আইনের এই অস্পষ্টতার বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানা দরকার। এরপরই আদালত দুই সচিবের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।
 
এদিকে শিশু আইনের অস্পষ্টতা নিরসনে আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। এর আগে শুনানিতে তিনি বলেছিলেন, শিশু আইনে বলা হয়েছে এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধের শিকার বা ভিকটিম এবং সাক্ষী শিশু হলে ওই মামলার বিচার শিশু আদালতে হবে। কিন্তু শিশুকে ধর্ষণ বা হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রাপ্তবয়ষ্ক হলে তার বিচার কোন আইনে বা আদালতে হবে সেটি এই শিশু আইনে স্পষ্ট করা হয়নি। আইনে এটি স্পষ্ট করা উচিত ছিল।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনের এই অস্পষ্টতা দূর করতে শিশু আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। আর সাংবিধানিক আদালত হিসেবে হাইকোর্ট আইনটি সংশোধনের জন্য আইন, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিতে পারেন। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে শিশু আইনে সর্বশেষ সংশোধনী আনা হয়। এই আইনের অধীনে প্রতিটি জেলায় গঠন করা হয় শিশু আদালত। শিশুকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সম্প্রতি ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রংপুরে দায়েরকৃত চারটি মামলার আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি করে শিশু আদালত। কিন্তু শিশু আদালত তাদের জামিন দেননি। পরে আসামিরা হাইকোর্টে এসে জামিন চান।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!