• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘সুদহার না কমালে কর ছাড় সুবিধা নয়’


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৩, ২০১৮, ১০:১৫ এএম
‘সুদহার না কমালে কর ছাড় সুবিধা নয়’

ঢাকা : জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক খাতে করপোরেট কর কমানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কম সুদে ঋণ না দিলে সেই সুবিধা তারা পাবে না।

বৃহস্পতিবার (২১ জুন) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) এক সংবাদ সম্মেলনে অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকগুলো লাকি যে তাদের করহার কমানো হয়েছে। তবে ল্যান্ডিং রেট ঠিক না রাখলে ব্যাংকগুলো এই বেনিফিট পাবে না।
উল্লেখ্য, ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দিতে হয়েছে সরকারকে। তারল্য সঙ্কটের কারণে ২০১৭ সালের শেষার্ধ থেকেই ব্যাংকঋণের সুদহার বাড়তে দেখা যায়। ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীকেও নির্দেশনা দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংকের করপোরেট ট্যাক্স ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।

এর আগে বেসরকারি ব্যাংকে সরকারি তহবিলের পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অর্থসঙ্কট কাটাতে নগদ জমার হারও (সিআরআর) কমানো হয়। নানা সুবিধা দেওয়ার পরই গত বুধবার বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবি ব্যাংক আমানত ও ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার। এর আগেই গত মঙ্গলবার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৭ জুন জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের (২০১৮-১৯) জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেই এমসিসিআই গতকাল সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। এতে ব্যাংকের সুদহারের সঙ্গে তাদের করপোরেট করের হার সরকার কীভাবে সমন্বয় করবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা দেননি এনবিআর চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।  বুধবার বিএবির সভার পর সংগঠনের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা ব্যাংকঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার পাশাপাশি আমানতের সুদহার ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেসব ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ১৪ এপ্রিল বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্যাংকঋণের সুদহার ১০ শতাংশের নিচে (সিঙ্গেল ডিজিট) নামিয়ে আনতে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১২-১৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদে ঋণ দিচ্ছে। আর আমানত সংগ্রহ করছে ৮-১১ শতাংশ সুদে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!