• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীর যৌতুক মামলায় এসআইয়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা


যশোর প্রতিনিধি জানুয়ারি ১২, ২০১৭, ০৭:১৯ পিএম
স্ত্রীর যৌতুক মামলায় এসআইয়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

যশোর: যশোর কোতোয়ালি থানায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এইচএম মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন মাদারীপুরের আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী রেজোয়ানা রহমানের যৌতুক নিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।

এসআই মাহমুদ মাদারীপুর শহরের ইউনুস সরদার সড়কের আব্দুল হক হাওলাদারের ছেলে। মামলায় এসআই ছাড়াও দু’ভাই মাসুম হাওলাদার ও মামুন হাওলাদার, মা মনোয়ারা বেগম এবং মাসুম হাওলাদারের স্ত্রী আসমা আক্তারকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা বিবরণে জানা গেছে, মাদারীপুর নতুন শহরের শকুনী এলাকায় তাদের বাড়ি। আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে ২০১৪ সালের ৫ অক্টোবর এইচ এম মাহমুদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এসময় নগদ দুই লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং বেশ কিছু মূল্যবান আসবাবপত্র যৌতুক দেন। কিন্তু বিয়ের পর জানতে পারেন মাহমুদ একজন নেশাখোর। এছাড়া বিভিন্ন আজেবাজে মেয়েদের সঙ্গে তার সম্পর্ক। বাধা দিতে গেলে নানা ধরনের নির্যাতন করে। বিয়ের সময় যে টাকা দেয়া হয়েছিল তা শেষ করে ফেলে। পরে অন্যান্য আসামির কুপ্ররোচনায় মাহমুদ তার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় স্ত্রী রেজোয়ানা রহমানের উপর নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে।

গেল বছরের ৩১ ডিসেম্বর সকালে এইচএম মাহমুদ তার পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী রেজোয়ানা রহমানকে মারপিট করে শিশু সন্তানসহ তার বাবার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। এরপর ওই দিন তিনি আদালতে মামলা করেন। 

এদিকে আদালত এ অভিযোগ আমলে নিয়ে এসআই এইচএম মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তা মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন।

যশোর কোতোয়ালি থানায় কর্মরত এসআই এইচএম মাহমুদ জানিয়েছেন, তার সঙ্গে বিয়ের আগে রেজোয়ানার ৩/৪টি বিয়ে হয়েছিল। সব জেনে তার সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। ভেবেছিলাম বিয়ের পর সে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু বিয়ের পর তার স্বাভাব চরিত্র বদলায়নি। সে আমার বাবা-মার মঙ্গে থাকতে চায়না। বিয়ের পর তার সঙ্গে থাকতো। বাধ্য হয়ে ৩১ ডিসেম্বর তাকে তালাক দেয়া হয়। এরপর ১১ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!