• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সৎ মেয়েকে ধর্ষণ: দুই দিনের রিমান্ডে বাবা


নিজস্ব প্রতিবেদন জুলাই ১৩, ২০১৭, ০৫:২৮ পিএম
সৎ মেয়েকে ধর্ষণ: দুই দিনের রিমান্ডে বাবা

ঢাকা: সৎ মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় আরমান হোসেন সুমনের (৩৮) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে সুমনকে আদালতে হাজির করে মামলার আলামত জব্দ ও ঘটনার রহস্য উন্মোচনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল নিশাত।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরমান হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক তরুণী।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বাদীর বাবার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তার মা ২০০৫ সালে আরমান হোসেন সুমনকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর থেকে মায়ের কাছে থাকা শুরু করেন বাদী।

চাকরির কারণে বাদীর মা মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন। ২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া বাদীকে প্রথম ধর্ষণ করেন আরমান হোসেন সুমন। এ সময় মোবাইলে আপত্তিকর ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন আরমান হোসেন সুমন। এরপর থেকে ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি এবং ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন।

একপর্যায়ে ২০১৫ সালে বাদী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আরমান হোসেন সুমনই তার গর্ভপাত ঘটান। এরপরও ধর্ষণ করতে থাকেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে নিউ ইস্কাটন রোডে খালার বাসায় চলে যান বাদী।

এরপরও তাকে কুপ্রস্তাব পাঠাতেন আরমান হাসেন সুমন। রাজি না হলে একপর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপ বাদীর বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অত্যন্ত নোংরা ভাষায় ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ পাঠাতেন আরমান হোসেন সুমন।

বুধবার (১২ জুলাই) রাতে আরমান হোসেন সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আরমান হোসেন সুমন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ

Wordbridge School
Link copied!