• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের আদেশের পর কারামুক্ত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু


আদালত প্রতিবেদক মে ১২, ২০১৭, ০১:১৬ পিএম
হাইকোর্টের আদেশের পর কারামুক্ত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

ঢাকা: সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে ট্রেনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। হাইকোর্টের জামিন আদেশের কপি কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছালে সকালে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

শুক্রবার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুক্তি পান। গত ১০ এপ্রিল ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরবর্তিতে ২ মে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। শুনানী শেষে ২ মে ৩টি মামলায় জামিন দেন বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চেৌধুরী ও বিচারপতি শহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরবর্তিতে একই আদালত ৮ ও ৯ মে বাকী চার মামলায় জামিন দেন। জামিন আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর তিনি আজ কারামুক্ত হলেন।

আদালতে তার পক্ষে শুনানী করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। জামিন আবেদন দাখিল করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী।  জানা যায়, ছাত্রদল নেতা শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদের মুলিবাড়িতে ছাত্র গণজমায়াতের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সমাবেশ চলাকালে দ্রুত গতির একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বিএনপির ছয়কর্মী নিহত হন। এছাড়া আহত হন শতাধিক মানুষ।

এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম হায়দার, সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক কে এম সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন র‌্যাব-১২ এর ডিএডি আবু বকর সিদ্দীক, বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার এসআই আছলাম আলী, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর জিআরপি থানার এএসআই গোলাম তৌহিদ, সিরাজগঞ্জ বাজার জিআরপি থানার এএসআই কাজী মো. সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মোট সাতটি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলার মধ্যে একটির এফআইয়ের ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নাম ছিলো। বাকী ছয় মামলায় তার নাম ছিলো না।

পরবর্তিতে ৬ মামলার অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তভুক্ত করে পুলিশ। এ সকল মামলা বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে তিনি ২ মে হাইকোর্ট আবেদন করেন। সে শুনানী শেষে টুকুকে ২মে ৩ মামলায় জামিন দেন বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চেৌধুরী ও বিচারপতি শহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরবর্তিতে একই আদালত ৮ ও ৯ মে বাকী চার মামলায় জামিন দেন। জামিন আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর তিনি আজ কারামুক্ত হন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!