• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩২ সাক্ষীর বিষয়ে খালেদার আবেদন খারিজ


আদালত প্রতিবেদক জানুয়ারি ১২, ২০১৭, ০৬:৩৯ পিএম
৩২ সাক্ষীর বিষয়ে খালেদার আবেদন খারিজ

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় স্বাক্ষ্য আইন অনুযায়ী ‘শপথ না নেয়া’ সাক্ষীদের সাক্ষ্য পুনরায় নেওয়ার আবেদন জানিয়ে করা খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি)বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করলেও ভবিষ্যতে যে কোনো মামলায় সাক্ষীরা যেন আইন অনুসারে শপথ নেয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য আইন সচিব ও রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।

পরে বদরুদ্দোজা সাংবাদিক বলেন, বেগম জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে যেন আইন অনুসারে সকল মামলার সাক্ষীরা শপথ নেন সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী ‘গড এর নামে শপথ করতে হয়। (হেল্প মি গড)। বেগম জিয়ার ৩২ সাক্ষীর ক্ষেত্রে সেটা প্রয়োগ করা হয়নি।

খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলেও জানান খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী।’

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট সাক্ষ্য নেয়ার বিষয়ে সে সার্কুলার জারি করেছিলো সেটা নিশ্চিত করতে আইন সচিব ও রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে গেল বছরের ৮ ডিসেম্বর খালেদার অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সাক্ষ্য নেয়ার আগে সাক্ষীদের শপথ নিতে হয়। কিন্তু এখানে সেটা করা হয়নি। তাই ৩২ সাক্ষ্য গ্রহণ বাতিল করে পুনরায় নেয়ার জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ০১ ডিসেম্বর সে আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করা হয়েছে।

এ মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীনরাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামেঅবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!