• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

৮ ফেব্রুয়ারি: উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে


বিশেষ প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮, ০৯:০১ পিএম
৮ ফেব্রুয়ারি: উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে

ঢাকা: ডেডলাইন ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনীত একটি দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার কথা। খালেদা জিয়ার কি সাজা হবে? এ প্রশ্ন সকলের মধ্যে। অনেকে মনে করছেন, রায় ঘোষণার দিন পেছাতেও পারে। সবকিছু মিলিয়ে জনমনে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, অস্বস্তি। 

রায়ে সাজা হলে কী করবে বিএনপি? দলের চেয়ারপারসনের কারাবন্দির ঘটনার প্রতিবাদ কি শান্তিপূর্ণভাবে করবে, নাকি সহিংস ঘটনার মাধ্যমে? দলটির হাইকমান্ড ‘শান্তিপূর্ণ’ প্রতিবাদের কথা বলেও মঙ্গলবার পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সে সম্ভাবনা কিছুটা ক্ষীণ হয়ে আসছে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন কি-না, সে প্রশ্নও উঠেছে।

এদিকে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রায়ের দিনের আগে-পরে রাজপথে নেতাকর্মীদের অবস্থান রাখার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। যে কোনো ধরনের সহিংসতা হলে ‘প্রতিহত’ করার কথাও জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। 

রায় ঘিরে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশও। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে। শুরু হয়েছে ধরপাকড়ও।

খালেদা জিয়ার মামলার রায়ের দিন ঢাকাসহ সারাদেশের রাজপথে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। বিশেষ করে রাজধানীতে বিপুল নেতাকর্মীর জমায়েত ঘটাতে চায় তারা। রায়ে দলের চেয়ারপারসনের সাজা হলে ওই দিন ঢাকার রাজপথে কঠোর প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা দলের হাইকমান্ডের। আবার রায়ে তিনি খালাস হলেও বিজয় আনন্দ করতে চায় তারা।

বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, আগামী নির্বাচন বানচাল হোক- এমন কোনো কর্মসূচি-পরিস্থিতি তারা সৃষ্টি করতে চান না। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা রয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে দলের চেয়ারপারসনের মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। 

মামলার রায়ের দিন প্রতিটি জেলায় নেতাকর্মীরা রাজপথে জমায়েত হবে। ঢাকার আশপাশের জেলার নেতারা ঢাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিশাল জমায়েত ঘটাতে চান।

এদিকে আওয়ামী লীগ সূত্রগুলো জানিয়েছে, মূলত খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণার আগের দিন থেকেই রাজপথে এমন সতর্ক অবস্থান নেবেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ ক্ষেত্রে ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ঢাকা মহানগরীর সব থানা ও ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের সতর্ক প্রহরায় রাখা হবে।

 ৮ ফেব্রুয়ারি দিনভরও নেতাকর্মীরা মাঠে একই রকম তৎপরতা দেখাবেন। যে কোনো ধরনের সহিংসতা হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থেকে তা প্রতিরোধ করার নির্দেশনাও থাকবে নেতাকর্মীদের প্রতি। 

এদিকে নবনিযুক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৮ ফেব্রুয়ারি কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। 

সোনালীনিউজ/জেএ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!