• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

তারেকের অর্থের উৎস কি : খালেদাকে পলক


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৬, ২০১৬, ০৯:১৮ পিএম
তারেকের অর্থের উৎস কি : খালেদাকে পলক

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘আজ সময় এসেছে খালেদাকে প্রশ্ন করার, তারেক জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনের মতো ব্যায়বহুল শহরে কিভাবে বিলাসী জীবন-যাপন করছেন, সেই অর্থের উৎস কি? অন্য সাধারণ দশজনের মতো আমি সে অর্থের বৈধ উৎস সম্পর্কে জানতে চাই। উত্তর আছে কি?’

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে খালেদার কাছে এ প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রতিমন্ত্রী ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘‘বেগম খালেদা জিয়া জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে তার আমেরিকার অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন ডলার জমা থাকার অভিযোগ করেন। তিনি এই টাকার উৎস জানতে চান। ভিত্তিহীন ও বানোয়াট এই অভিযোগের জবাবে সজীব ওয়াজেদ জয় তাৎক্ষণিকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়া প্রতিক্রয়া জানিয়ে বলেন ‘ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।’

জয় তার প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন, ‘আপনার (খালেদা) পোষা ভৃত্য মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমান এফবিআই এর গোপন নথি চুরি করে আমার সব ব্যাংক হিসাবের তালিকা পেয়েছে, কিন্তু সেই টাকা খুঁজে পায়নি। ১/১১ এর সামরিক শাসকেরা যারা আমার মাকে আটক করেছিল, তারাও সেটি খুঁজে পায়নি। এমনকি এফবিআই সেটি পায়নি। এটা এজন্য যে, আমি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছিও কোনো সম্পদ কোনোদিন অর্জন করিনি। আমি তত ধনী নই।’

ইতোমধ্যেই ৫ দিন অতিবাহিত হয়েছে। বেগম জিয়া এখনো জয়ের চ্যালেঞ্জটি নিতে পারেননি। তিনি পারবেনও না। কারণ, যার বড় ছেলের মুদ্রা পাচার মামলায় এফবিআই কর্মকর্তার বাংলাদেশে স্বাক্ষ্য দিতে আসতে হয় ও ছোট ছেলে (প্রয়াত: তার আত্নার শান্তি কামনা করছি)`র নাম মাত্রাতিরিক্ত দুর্নীতির দরুণ বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের হ্যান্ডবুকে লিপিবদ্ধ হতে হয়, এমনকি যিনি নিজের প্রয়াত স্বামীর নামে এতিমদের জন্য প্রতিষ্ঠিত জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ মামলায় জড়িত থাকার মতো অপরাধে বিচারাধীন রয়েছেন; তিনি আর যাই হোক, জয়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো সৎ সাহস রাখেন না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই ভোগবাদে বিশ্বাস করেন না। তিনি তার পরিবারকেও সে শিক্ষায় দীক্ষিত করেননি। তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিত। বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজ গুণে সবাই প্রতিষ্ঠিত। তারা কেউই অর্ধ-শিক্ষিত নন এবং তাদের কেউই বিলাসী জীবন-যাপনে অভ্যস্ত নন। আর আমরা মিথ্যা অভিযোগে নয়, তথ্য-প্রমাণ নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি। চরিত্র হননে আপনারাই সারা জীবন ব্যস্ত থেকেছেন, আগামীতেও যে থাকবেন, তা অন্য সকল বাঙালির মতো আমিও জানি। পরের চরিত্র হনন করতে গিয়ে বারবার আপনার চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ২০০ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি ফেরত দিয়েছেন হাসিমুখে ও অবলীলায়, আর অবৈধ বাসিন্দা হয়েও অবৈধ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় জাতি আপনার ঘৃণামাখা লোভাতুর চোখে জল দেখেছে।

আজ সময় এসেছে আপনাকে প্রশ্ন করার: তারেক জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে লন্ডনের মতো ব্যায়বহুল শহরে কিভাবে বিলাসী জীবনযাপন করছেন, সেই অর্থের উৎস কি? অন্য সাধারণ দশজনের মতো আমি সে অর্থের বৈধ উৎস সম্পর্কে জানতে চাই। উত্তর আছে কি?

আমার প্রশ্নের উত্তর আপনি দিতে পারবেন না, তা আমি জানি। কিন্তু আপনার কাছে আমার অনুরোধ, সজীব ওয়াজেদ জয়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আপনার অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ দিন। সকল মিথ্যা নিশ্চয় পরাজিত হবে, সত্যের জয় অনিবার্য।’’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!