বিপিএলে ঘরের মাঠে দারুন লড়াই করলো সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন ঢাকা ডায়নামাইটস। মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রমান করলো চার ম্যাচের তিনটিতে জয়ী হয়ে তারাই সেরা। যদিও সম অবস্থানে রয়েছে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্স। এই তিনটি দল ৬ পয়েন্ট অর্জন করলেও ঢাকা রানরেটের হিসেবে সবাই ছাড়িয়ে গেছে। ঠিক তার পেছনেই বরিশাল ও খুলনা। এছাড়া রংপুর রাইডার্স তিন ম্যাচে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে আছে চতুর্থ অবস্থানে। ৩ ম্যাচে এক জয়ে রাজশাহী কিংসের পয়েন্ট সংখ্যা দুই। তাদের অবস্থান পঞ্চম স্থানে। অন্যদিকে চার ম্যাচে এক জয়ে দুই পয়েন্ট নিয়ে চিটাগং ভাইকিংস ছয় নম্বরে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। চার ম্যাচের সবক’টিতে হেরে তাদের পয়েন্ট শূন্য। তাই তাদের অবস্থানও সবার নিচেই।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এবারের বিপিএলে ৮৫ জন ভিনদেশী ক্রিকেটারদের টপকে ব্যাটে-বলে দর্শক মাতিয়েছেন দেশী ক্রিকেটাররা। বিপিএলের একমাত্র সেঞ্চুরি যেমন সাব্বির রহমানের; তেমনি এই পর্বে সর্বাধিক রানও স্থানীয় ক্রিকেটারদের দখলে। শুধু তাই নয়, রানের খাতায় প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানই দেশের। তাদের সবার উপরে রয়েছেন বরিশালের শাহরিয়ার নাফিস। তিনি ৪ ম্যাচে করেছেন ১৮৪ রান। নাফিসের পরেই আছেন একই দলের মুশফিক,১৭৪ রান করে। ঢাকা ডায়নামাইটসের মেহেদী হাসান মারুফ ১৭০ রান করে আছেন তৃতীয় স্থানে। রাজশাহী কিংসের সাব্বির রহমান ৩ ম্যাচে ১৫৭ রান করে আছেন চতুর্থ স্থানে এবং চিটগাংয়ের তামিম ইকবালের স্থান এখনো পর্যন্ত পঞ্চম স্থানে। তিনি করেছেন ১৪৩ রান।
অন্য দিকে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন খুলনা টাইটান্সের পেসার শফিউল ইসলাম। এ যেন নতুন করে ক্রিকেটে ফেরা হলো তার। অসাধারন নৈপুন্য তুলে ধরে তিনি একের এক উইকেট দখল করেছেন। চার ম্যাচে তিনি দখল করেছেন সর্বাধিক ৮ উইকেট। খরচ করেছেন এতে মাত্র ২৮ রান। সমান ম্যাচ খেলে সমান উইকেট দখল করেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের মোহাম্মদ শহিদও। তবে শফিউলের চেয়ে বেশি রান খরচ করায় কিছুটা পিছিয়ে তিনি। উইকেট দখলে তৃতীয় স্থানে আছেন রংপুরের বুমবুম আফ্রিদী। তিনি ও আগগানিস্তানের নবী সাতটি করে উইকেট লাভ করেন। পঞ্চম স্থানে আছেন পাকিস্তানের জুনায়েদ খান। তিনিও চার ম্যাচে সাত উইকেট লাভ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩টি ম্যাচের খেলা শেষ। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে ১১টি ম্যাচ। মাঠে গড়াবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে। চট্টগ্রামে বিপিএল পর্ব চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর আবার ঢাকায় শুরু হবে আগামী ২৫ নভেম্বর।
ইতিমধ্যে দলগুলো পাড়ি জমিয়েছে বন্দর নগরীতে। ক্রিকেটারদের পদচারনায় রঙিন ক্রিকেটের ছোঁয়া পড়েছে বঙ্গপোসাগর ঘেষা জহুরু আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। বৃহস্পতিবার সাগরিকায় শুরুতেই মুখোমুখি হবে স্বাগতিক চিটাগাং ভাইকিংস ও ঢাকা ডায়নামাইটস। একই দিন সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে বরিশাল বুলস ও রংপুর রাইডার্স।
নাম দল ম্যাচ রান
শাহরিয়ার নাফীস বরিশাল বুলস ৪ ১৮৪
মুশফিকুর রহীম বরিশাল বুলস ৪ ১৭৪
মেহেদী মারুফ ঢাকা ডায়নামাইটস ৪ ১৭০
সাব্বির রহমান রাজশাহী কিংস ৩ ১৫৭
নাম দল ম্যাচ উইকেট
শফিউল ইসলাম খুলনা টাইটান্স ৪ ৮
মোহাম্মদ শহীদ ঢাকা ডায়নামাইটস ৪ ৮
শহীদ আফ্রিদি রংপুর রাইডার্স ৩ ৭
মোহাম্মদ নবী চিটাগাং ভাইকিংস ৪ ৭
জুনায়েদ খান খুলনা টাইটান্স ৪ ৭
দল ম্যাচ জয় হার পয়েন্ট
ঢাকা ডায়নামাইটস ৪ ৩ ১ ৬
বরিশাল বুলস ৪ ৩ ১ ৬
খুলনা টাইটান্স ৪ ৩ ১ ৬
রংপুর রাইডার্স ৩ ২ ১ ৪
রাজশাহী কিংস ৩ ১ ২ ২
চিটাগং ভাইকিংস ৪ ১ ৩ ২
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৪ ০ ৪ ০
চট্টগ্রাম পর্ব
১৭-১১-২০১৬
দুপুর ২.০০- চিটাগং ভাইকিংস ও ঢাকা ডাইনামাইটস
সন্ধ্যা ৭.০০- বরিশাল বুলস ও রংপুর রাইডার্স
১৮-১১-২০১৬
দুপুর ২.০০- চিটাগং ভাইকিংস ও রাজশাহী কিংস
সন্ধ্যা ৭.০০- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রংপুর রাইডার্স
১৯-১১-২০১৬
দুপুর ২.০০- ঢাকা ডাইনামাইটস ও খুলনা টাইটানস
সন্ধ্যা ৭.০০- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও রাজশাহী কিংস
২০-১১-২০১৬
সন্ধ্যা ৭.০০-বরিশাল বুলস ও খুলনা টাইটানস
২১-১১-২০১৬
দুপুর ২.০০- ঢাকা ডাইনামাইটস ও রাজশাহী কিংস
সন্ধ্যা ৭.০০- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ও চিটাগং ভাইকিংস
২২-১১-২০১৬
দুপুর ২.০০- খুলনা টাইটানস ও রংপুর রাইডার্স
সন্ধ্যা ৭.০০- বরিশাল বুলস ও চিটাগং ভাইকিংস
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :