• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শুধু প্রাকৃতিক নয়, যৌনমিলন একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়!


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৫, ২০১৬, ০৪:৫৩ পিএম
শুধু প্রাকৃতিক নয়, যৌনমিলন একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

গবেষকরা বলছেন শুধু প্রাকৃতিক নয়, যৌনমিলন একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়। আর এবিষয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যও দিয়েছেন তারা।   
কম কোলেস্টেরোল!

ক্ষমতা বাড়ায়: বিছানায় যারা ভালো অবদান রাখতে পারছেন না তাদের উচিত কোলেস্টেরোলের মাত্রা পরীক্ষা করা। শরীরে কোলেস্টেরোলের মাত্রা বেশি হলে পুরুষাঙ্গ দৃঢ় হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। রটগার্স ইউনিভার্সিটির রবার্ট উড জনসন মেডিকেল স্কুলের গবেষকদের করা এক গবেষণা অনুযায়ী, কোলেস্টেরোলের মাত্রা কমানোর ওষুধ খেলে যৌন মিলন দীর্ঘস্থায়ী ও সুখের হবে।

সঙ্গমের পর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা: সঙ্গমের পর পরস্পরকে জড়িয়ে ধরা নারীদের বহুল কাক্সিক্ষত বিষয়। এই আকাক্সক্ষাকে ইতিবাচক সমর্থন দিচ্ছে গবেষণাও।

কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোর গবেষণা অনুযায়ী, যৌনমিলনের পর জড়িয়ে ধরা সম্পর্কের উপর সন্তুষ্টি ধরে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মিলনের পর যুগলের জড়িয়ে ধরার কারণে শরীরে নিঃসৃত ‘অক্সিটোসিন’ হরমোন এই সন্তষ্টির বৈজ্ঞানিক কারণ।   

মিলন নোংরা মনে হলে: যৌনমিলনে লিপ্ত হওয়ার মন-মানসিকতা না থাকলে কাজটা নোংরা মনে হতে পারে অনেকেরই। গবেষকদের মতে, সঙ্গম যদি উপভোগ্য না হয় তবে শরীরে স্বাভাবিক ঘেন্না লাগার প্রবৃত্তির কারণে তা নোংরা মনে হবে।

নেদারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ গ্রোনিনগেন’য়ের গবেষকরা গবেষণার জন্য কয়েকজন নারীকে পর্নো সিনেমা, খেলাধুলার ভিডিও বা অন্যান্য সাধারণ ভিডিওর মধ্যে যে কোনো একটি দেখার জন্য বলা হয়। পরে তাদেরকে বলা হয় স্বাভাবিকভাবে ঘেন্না লাগে এমন কিছু কাজ করতে। যেমন: পোকা পড়ে থাকা তরল পান করা। দেখা যায়, পর্নো সিনেমা দেখার পর ঘেন্না লাগে এমন কাজ করতে নারীরা ঘেন্না কম অনুভব করেছেন।  

বেশি যৌনমিলন: লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণা বলছে, একজন মানুষের মস্তিষ্কের গঠন তার সঙ্গম সঙ্গীর সংখ্যা বাড়াতে পারে।

এক গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে আসেন। গবেষণায় যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ছবি দেখা অবস্থায় অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়। পরে তাদের যৌন প্রবৃত্তির উপর ভিত্তি করে কয়েকটি দলে ভাগ করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, যৌন ইঙ্গিতমূলক ছবি দেখার সময় যাদের মস্তিষ্কের চঞ্চলতা বেশি ছিল, তাদের যৌনসঙ্গমের সঙ্গির সংখ্যাও ছিল সবচাইতে বেশি।

সঙ্গমে ক্যালরি পোড়ে: তথ্যটি বহুল প্রচলিত হলেও খুব কম মানুষই তা বিশ্বাস করেন। তবে কথাটি যে সত্য তার প্রমান দেখিয়েছেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ক্যুবেক’য়ের গবেষকরা। এক ঘণ্টা সঙ্গমের মাধ্যমে ৩০ মিনিট জগিংয়ের সমপরিমাণ ক্যালরি পোড়ে।

গবেষণা অনুযায়ী, এক মিনিট সঙ্গমে পুরুষ হারায় ৪.২ ক্যালরি। আর নারীর পোড়ে প্রায় ৩.১ ক্যালরি। গড় হিসাবে, প্রতিবার যৌনমিলনে নারী-পুরুষ মিলে পোড়ে যথাক্রমে প্রায় ১০১ ও ৬৯ ক্যালরি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!