সেমিফাইনালে বাংলাদেশের সামনে ফিলিস্তিন

ঢাকা: আগেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। অপেক্ষায় ছিল প্রতিপক্ষের। অবশেষে  প্রতিপক্ষ হিসাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনকে পেয়েছে জেমি ডের শিষ্যরা। বুধবার (৯ অক্টোবর) ক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে লাল সবুজরে জার্সিধারীরা।

শনিবার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের শেষ নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে  গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আসরের শীর্ষ র‌্যাংকধারী ফিলিস্তিন। ফলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নেপাল। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানের কাছে ২-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল নেপাল। ফলে কোন পয়েন্ট না নিয়েই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হলো তাদের। ফিলিস্তিনের সঙ্গে গ্রুপ রানার্স আপ হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে তাজিকিস্তান।

এদিন ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খুঁজেই পাওয়া যায়নি নেপালিদের। মধ্যপ্রাচ্যের পরাক্রমশালী দলটির আক্রমন ঠেকাতেই কাটিয়েছে পুরোটা সময়। এসময় মাঠের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলেও ফিলিস্তিনীদের মধ্যে ছিলনা গোল করার আগ্রাসী মনোভাব। বেশ হাল্কা মেজাজেই তারা বড় ডি বক্স থেকে পরীক্ষা নিয়েছে নেপালী গোল রক্ষকের। এসময় ম্যাচ হয়েছে মুলত নেপালী সিমানায়। তবে তাদের সব খেলোয়াড় রক্ষনভাগে চলে আসায় গোল মুখ থেকেই ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে ফিলিস্তিনকে। অবশ্য সুযোগ বুঝে নেপাল কয়েকটি প্রতিআক্রমণ রচনা করলেও গোল আদায়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিলনা। ফলে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে নেপাল। ফলে রক্ষণভাগ ছেড়ে কিছুটা উপড়ে উঠে আসে নেপালের খেলোয়াড়রা। আর ওই সুযোগটিকেই কাজে লাগায় ফিলিস্তিন। ম্যাচের ৭০ তম মিনিটে আব্দুল্লাহ জাবেরের ক্রসের বলে দর্শনীয় হেডের মাধ্যমে গোল করেন খালেদ সেলিম (১-০)। এতেই ফের খোলস বন্দী হয়ে পড়ে নেপাল। ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে ফের গোলের দারুন একটি সুযোগ সৃষ্টি করে ফিলিস্তিন। ডি বক্সের লাইন থেকে খালেদ সেলিমের মাটি কামড়ানো শটের বল ডান দিকে ঝাপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেন নেপালের গোল রক্ষক বিকাশ কুঠু। শেষ ২০ মিনিটে অন্তত চারবার নেপালের রক্ষনে আঘাত হানে ফিলিস্তিন। তবে গোল করতে পারেনি। প্রতিবারই দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া গোলরক্ষক বিকাশ কুটো। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।

আগামী ৯ ও ১০ অক্টোবর পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল। ১২ অক্টোবর ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ।

এই প্রথম তিন ভেন্যুতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। আগের দুটি আসর বসেছিল ঢাকা ও যশোর এবং ঢাকা ও সিলেটে। দর্শকের কথা মাথায় রেখেই জাতির জনকের নামের এ টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ খেলা ঢাকার বাইরে রেখেছে বাফুফে। সিলেটের দর্শকরা বাফুফে আস্থার প্রতিদান দিয়েছে। এবার কক্সবাজারের পালা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই