• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

‘সাকিব নিজের সিদ্ধান্তেই এশিয়া কাপ খেলেছে, জোর করা হয়নি’


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ৯, ২০১৮, ০৭:২৭ পিএম
‘সাকিব নিজের সিদ্ধান্তেই এশিয়া কাপ খেলেছে, জোর করা হয়নি’

ফাইল ছবি

ঢাকা: আঙুলের চোট নিয়ে এশিয়া কাপে খেলতে নিজের অনিহার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান আঞ্চলিক এই টুর্নামেন্টে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। ফলে কোনও রকম অনুশীলন ছাড়াই খেলেতে হয়েছে সাকিবকে। দলও উঠেছিল ফাইনালে। দল শিরোপা জিততে পারেনি তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু বড় ক্ষতির সম্মুখনি হয়েছে টাইগাররা।  

এশিয়া কাপে খেলার সময় সাকিব আল হাসানের চোট পাওয়া আঙুলে ইনফেকশন ধরা পড়েছে। যে কারণে এশিয়া কাপের মাঝ পথেই দেশে ফেরেন সাকিব। এরপর আঙুলের চোট দেখাতে অস্ট্রেলিয়া যান সাকিব। দেশ ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, তাঁর আঙুল আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। সাকিবের এমন কথায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ বলছেন কেন সাকিবকে জোর করে এশিয়া কাপে খেলানো হলো? কেউবা ফিজিওকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) ফিজিওর এমন কাণ্ডে অসন্তুষ্ট।

অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। তিনি জানিয়েছেন, সাকিব নিজের সিদ্ধান্তেই এশিয়া কাপ খেলেছে। তাঁকে জোর করা হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাকিবের চোট নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বলতে পারেন, এশিয়া কাপের পরে অস্ত্রোপচারের কথা কেন বললাম। ওর যে অস্ত্রোপচার লাগবে সেটাই তো জানি না। সমস্যা থাকবে। আমাকে চিকিৎসকেরা বলেছেন, ৭০ শতাংশ থাকলেই হবে। এটা নিয়ে খেলতে পারবে। আর অস্ত্রোপচার করলে আগের অবস্থা ফিরে পাবে এমন নিশ্চয়তা নেই। এটার কথা কেউ বলেনি।’

‘আপনারা আমাকে বলেন, এর আগে আমেরিকায় এক-দেড় মাস ছিল, বসেই ছিল। তখনই তো করতে পারত (অস্ত্রোপচার)। আমাকে সে মক্কা-মদিনাতে বলেছে (হজের সময়), ফিজিও বলেছে এটা নিয়ে খেললে (চোট) বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনো অসুবিধা নেই। সে খেলতে পারে। তারপরও বলেছি তুমি একজন ডাক্তার দেখাও। আমার ধারণা ছিল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা যুক্তরাষ্ট্রে (অস্ত্রোপচার) করতে পারে। কোন চিকিৎসক বলেছেন ওর অস্ত্রোপচার লাগবেই, এটা জানা নেই বোর্ডের। অস্ত্রোপচার করার ব্যাপারটা ছিল সাকিব, ফিজিও ও চিকিৎসকের ওপর। সাকিব এশিয়া কাপের আগেই করতে চায়। আমি বলেছি, এশিয়া কাপে খেলা গেলে সে পরে করুক। যদি খেলা যায়, যদি ফিজিও-চিকিৎসক সবুজ সংকেত দেয়। মুশফিক-মাশরাফি তো খেলে যাচ্ছে। আমার কথা হচ্ছে, পারলে খেলুক। যতক্ষণ পারি জান দিয়ে খেলব।’

নাজমুল বলেন, ‘আমাকে সে বলেছে, আঙুলের এই সমস্যা। বলল, অপারেশন করলেই চলে। আমি বলেছি, তুমি ডাক্তারের সঙ্গে দেখা কর। এমন যদি হয়, এখন না করলেও চলবে। তুমি এটা পরে কর । তারপর ওর সঙ্গে মক্কা এবং মদিনায় দেখা, একই কথা। আমি বলেছি, ঝুঁকি নিও না। তুমি ডাক্তার দেখাও। ও জিজ্ঞেস করেছে, কী করব। বললাম, তোমার সিদ্ধান্ত। ও বলল, ফিজিও বলে দিয়েছে অসুবিধা নেই। জিজ্ঞেস করলাম, খেললে খারাপ হতে পারে কি না। বলল, না। এটাই শেষ কথা হয়েছে। আমি হজ করে ঢাকায় আসছি, চার দিন পর হঠাৎ কোচের (স্টিভ রোডস) মেইল দেখলাম, সাকিব দলে যোগ দেবে না (ঢাকায়)। সে আমেরিকায় যাচ্ছে। ওখান থেকে সে সরাসরি এশিয়া কাপের দলে যোগ দেবে (দুবাইয়ে)। তখন আমরা জানলাম সে খেলছে।’

সাকিবের আঙুলে যে ভয়াবহ সংক্রমণ হয়েছে, ফিজিওর ভূমিকা কী ছিল? তাঁর জবাবদিহি বিসিবি চাইবে কি না, এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি শুধু সাকিবের কথা শুনেছি। ফিজিও না এলে কিছু বলতে পারছি না। ফিজিওর সঙ্গে কথা হয়নি। একটা জিনিস আমাকে বলা হয়েছে, ভেতরে ইনফেকশন এভাবে বোঝার উপায় নাই। যখন ইনজেকশন দেয় তখন বলার উপায় নেই। আমাদের কোনো খেলোয়াড়ের চিকিৎসা-সংক্রান্ত কোনো ব্যাপার থাকলে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। সাকিব আমাদের বড় সম্পদ।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!