• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টি কঠিন সমীকরণে ফেলছে মাশরাফিদের


ক্রীড়া প্রতিবেদক জুন ১১, ২০১৯, ০৪:১১ পিএম
বৃষ্টি কঠিন সমীকরণে ফেলছে মাশরাফিদের

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দ্বাদশ বিশ্বকাপে স্বপ্নের সূচনা করেও পরের দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে খানিকটা ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে জয়ের জন্য মরিয়া লাল সবুজ জার্সিধারীরা। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টায় ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার কথা টাইগারদের। কিন্তু মাশরাফিদের কঠিন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।  

বৃষ্টি বিড়ম্বনায় নির্ধারিত সময়ে টস করতে মাঠে নামতে পারেনি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক। এই মুহুর্তে ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে বৃষ্টি নেই তবে প্রচুর বাতাস রয়েছে। আকাশে মেঘের ঘনঘটা। যেকোনো সময় নেমে যেতে পারে বৃষ্টি। তাই পিচ ও আউটফিল্ডের কিছু অংশ কভারে ঢেকে রাখা হয়েছে।

আইসিসির পক্ষ জানানো হয়েছে সকাল সাড়ে ১০টায় অর্থাৎ ম্যাচ শুরুর সময়টায় পিচ পরিদর্শনে যাবেন দুই আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ এবং রিচার্ড কেটেলব্রো। এরপর জানা যাবে কখন শুরু হবে ম্যাচ বা আদৌ মাঠে গড়াবে কি-না খেলা।

বৃষ্টির পূর্বাভাস শুনে চিন্তায় রয়েছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা পুরো ম্যাচ খেলতে চাই। আশা করছি পুরো ম্যাচ খেলতে পারব। ম্যাচটা না হলে আমাদের সমীকরণ কঠিন হবে। আগের দু’টির একটা জিততে পারলে কঠিন হতো না সমীকরণ। তাই চাচ্ছি, ম্যাচটা পুরো যেনো হয়।’

এই ম্যাচে কাউকেই এগিয়ে রাখছেন না মাশরাফি। মাঠে যারা ভালো খেলবে তাদেরই জয় হবে বলে মনে করেন ম্যাশ। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে এশিয়ার দু’টি দল খেলছি, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। দু’টি দলই ভাবছে এখান থেকে দুই পয়েন্ট পাওয়া যাবে। এটা সত্যি কথা- সমান অবস্থায় আছে দু’টি দলই। এখন যে মাঠে বেশি ভালো খেলবে, তার সুযোগটাই বেশি হবে।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে না পারার হতাশাটা এখনও আছে মাশরাফির। তাই ঐ ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে মাশরাফি বলেন, ‘আগের দুই ম্যাচ হেরে আমরা হতাশ। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে। তবে শেষ হওয়ার আগে কিছুই বলা যাবে না। এখনো আশা আছে। ছেলেরা জিততে মুখিয়ে আছে। তাই আমরা পূর্ণ ম্যাচ চাই।’

নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে এখন সমীকরণ কঠিন হয়েছে বাংলাদেশের বলে মনে করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘প্রত্যকটি ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম থেকেই আমরা এই ম্যাচটি পরিকল্পনায় রেখেছি। প্রথম তিনটা ম্যাচ- আসলে সত্যি কথা এই কন্ডিশনে এমন তিনটা দলের সাথে খেলেছি, যারা এই কন্ডিশনের সাথে শুরু থেকেই সেট। কিন্তু আমাদের সেট হতে কিছুটা সময় লাগবে। তারপরও প্রথম জয়ের পর মনে হয়েছে যে আমরা যদি আরেকটা ম্যাচে জিততে পারি, তবে আমাদের জন্য সমীকরণটা সহজ হবে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশে হার রান বা দলীয় অবস্থা যেকোনো বিবেচনায় ছিল বড় ব্যবধানের। ১০৬ রান, প্রতিপক্ষ যেখানে করেছে ৩৮৬। এসব সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেটারদের মাথায় ছিল। ব্রিস্টলের অনুশীলনেও দেখা গিয়েছে বাড়তি মনোযোগ। বিশেষত তামিম ইকবালকে নিয়ে আলাদা সময় কাটান ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি। মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট হাতে পাচ্ছেন আত্মবিশ্বাস। লম্বা সময় নেটে ব্যাটিং করেন মিরাজ।

কোচ স্টিভ রোডস মোসাদ্দেক-মিরাজকে একসঙ্গে দীক্ষা দেন। লোয়ার অর্ডার সামলানোর টোটকা শেখান তাদের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভুল বোঝাবুঝির রান আউট এবং রান আউটের সহজ সুযোগ নিজ হাতে নষ্ট করার পর মুশফিকুর রহিম ছিলেন মানসিকভাবে কিছুটা আহত। সেই আঘাত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সেরে তোলার চেষ্টাই করেছেন তিনি।

এখনো পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরাদের তালিকাতেই আছেন ব্যাটসম্যান মুশফিক। ৩ ম্যাচে ১৪১ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেই মুশফিকের রান ১৪৪।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ম্যাচটির একটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট রয়েছে। বিশ্বকাপে এই প্রথম কোনো ম্যাচে বাংলাদেশ নামছে ফেভারিট হিসেবে। র‍্যাংকিংও সে কথাই বলছে। বাংলাদেশ আছে সাতে, শ্রীলঙ্কা আছে নয়ে। তবে এই বিশ্বকাপে প্রথম তিন ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট বেশি। এক জয়, এক হার শ্রীলঙ্কার, সঙ্গে যোগ হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচের এক পয়েন্ট।

তাই আজকের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে পরের পাঁচটির মধ্যে চারটি ম্যাচেই জিততে হবে বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কা ব্রিস্টলে আছে বেশ কিছুদিন ধরে। আর বাংলাদেশ সোমবার প্রথম মাঠে নেমেছে কাউন্টি গ্রাউন্ডে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!