বরগুনা: গণহত্যা করে দেশের মানুষ নির্বিচারে মেরেছে আওয়ামী লীগ। তাদের এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার নাই। যত হুঙ্কার দিক, যত কেক কাটুক, যত শপথ করুন রাজপথে আসতে চাইলে শক্ত হাতে দমন করা হবে।
বরগুনার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শ্রম বিষয়ক সহ-সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বরগুনা জেলা শ্রমিক দল আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরো বলেন, বরগুনা মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করেছেন গত ১৭টি বছর। আর কোনো সুযোগ দেয়া হবেনা। তিনি আওয়ামী লীগের শাষন আমলের উন্নয়নের সমলোচনা করে বলেন, বরগুনা যে উন্নয়ন করেছেন তা বাংলাদেশের মধ্যে ১ নম্বরে উঠিয়েছেন বরগুনাকে।
এমন কোনো রাস্তাঘাট নেই বর্ষাকাল আসলে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া দূুরের কথা বাইসাইকেল চালিয়ে যাওয়াও সম্ভব না। কুকুর রাস্তা দিয়ে দৌড়ে গেলে রাস্তার পিচ কুকুরের পায়ের সঙ্গে উঠে যায়। বরগুনার পায়রা নদীর নামে পায়রা বন্দর নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলাপাড়ায়। বরগুনায় ক্যান্টনমেন্ট নির্মাণ হওয়ার কথা তা নিয়ে যাওয়া হয়েছে লেবুখালী।
[244332]
তখন আওয়ামী লীগের কোন এমপি,উপজেলা চেয়ারম্যান বা কোনো নেতা প্রতিবাদ করেনি। তারা সকলে রাতের ভোটে এমপি আর দিনে ভোট ডাকাতি করে হয়েছে চেয়ারম্যান। তারা শুধু টাকা কামাই করছে। বরগুনার মানুষের উন্নয়নের জন্য কিছুই করে নাই। এখন তারা ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে আর স্টাটাস দিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি বরগুনার প্রশাসনের উদ্দেশ্য বলেন ফ্যাসিস্টদের দোসরদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুন তানা হলে বিএনপির নেতা কর্মীরা ধরে ধরে এদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেবে।
জনসভায় বরগুনা জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি নাসির উদ্দীন মোল্লার সভাপতিত্ব করেন। জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এজেড সালেহ ফারুক।
বক্তব্য প্রদান রাখেন সাবেক সহ সভাপতি বাবুল হাওলাদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালিমুল ইসলাম পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন হাসান শাহীনসহ প্রমুখ। সঞ্চালক ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আ্যডভোকেট এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
এআর