ঢাকা: আগামীর বাংলাদেশ গঠনে নারীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “নারীরা যোগ্যতা, কমিটমেন্ট ও আন্তরিকতার দিক থেকে এগিয়ে; তাই আগামীর বাংলাদেশে নারীরাই হবে মূল শক্তি।”
শুক্রবার বিকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন আয়োজিত "জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২৫" অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে নারীদের সামনে নিয়ে আসতে সরকার কাজ করছে। তবে এখনো জাতীয় পর্যায়ের বড় বড় অনুষ্ঠানে নারীদের যথাযথ স্থান দেওয়া হয় না, যা হতাশাজনক।
তিনি স্মরণ করেন, “আমরা দেখি শহীদদের মা জাতীয় সঙ্গীত শুনতে শুনতে অশ্রুসিক্ত হন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারী যোদ্ধাদের সংখ্যা কম হলেও তাদের অবদান অবিস্মরণীয়। প্রতিটি আন্দোলনের পেছনে মায়েদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।”
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত নারীরা সামনের সারিতে ছিলেন। তবুও স্বাধীনতার পর কিংবা আন্দোলন শেষে নারীদের প্রান্তিক পর্যায়ে ঠেলে দেওয়ার প্রবণতা অব্যাহত ছিল, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “দেশের ৫১ শতাংশ নারীকে আর পেছনে রাখা যাবে না। অধিকার কেউ দিয়ে যায় না, তা আদায় করে নিতে হয়। জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের কাজ হওয়া উচিত—যেখানেই থাকুক, নারীদের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করা।”
জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জন্নাতুল নাঈম প্রমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শহীদ আবরার ফাহাদের মা, স্ট্যাম্পফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান টুম্পা, শহীদ নাঈমা সুলতানার মা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধা আইমান।
অনুষ্ঠানে ১০০ নির্বাচিত নারীর হাতে "জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২৫" সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের জীবন ও কর্মভিত্তিক সাফল্যের গল্প শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, যাতে অন্য নারীরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন।
ওএফ