পটুয়াখালী: জমি কেনার বায়না টাকা ফেরতকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক কুটচালে বিপাকে পড়েছেন কুয়াকাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব নেছার উদ্দিন হাওলাদার।
প্রতিপক্ষরা তাকে জড়িয়ে একটি ভিডিও ও ছবি ভাইরাল করার চেষ্টা করলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে কলাপাড়ার মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামে সংবাদ সম্মেলনে জমিদাতা মোস্তফা আকন নিজেই বিষয়টি পরিষ্কার করেন।
তিনি জানান, নেছার উদ্দিন তার কাছ থেকে জমি কিনতে অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে জমি বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় বায়না টাকা ফেরত হিসেবে নেছারকে নগদ ৫ লাখ ও তার ছেলে আব্দুল হালিম আকনের নামে একটি ব্যাংক চেক দেওয়া হয়।
কিন্তু জমির বিক্রয় টাকাকে কেন্দ্র করে পিতা-পুত্রের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে হালিম আকন চেকের লেনদেন আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এরপর প্রতিপক্ষরা ওই চেককে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও ধারণ করে তা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করে। ভিডিওতে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামীর কণ্ঠ শোনা গেলেও তিনি দাবি করেন, ‘ভিডিওটি আমি সরবরাহ করিনি, শুধু হালিমের কথা শুনছিলাম।’
[255768]
নেছার উদ্দিন জানান, তার এখনও ৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। অথচ প্রতিপক্ষরা হালিম আকনকে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। এতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মোস্তফা আকন বলেন, নেছারের সঙ্গে আমাদের দেনা-পাওনার বিষয় সমাধান হয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমার ছেলে হালিমকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা অভিযোগ প্রচার করানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদার বলেন, জমি ক্রয়-বিক্রয়ের লেনদেন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন তা সমাধান হয়েছে। নেছারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। দলে অপরাজনীতির কোনো সুযোগ নেই।
তবে অভিযুক্ত আব্দুল হালিম আকনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত ফোন কয়েকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
এআর