চট্টগ্রামের শুলকবহর ওয়ার্ড কার্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন রোহিঙ্গা নাগরিক আবদুল জলিল, চট্টগ্রাম বন্দর থানার সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বর্তমানে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, এবং চসিক শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্ম নিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। চট্টগ্রাম দুদকের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আবদুল জলিল নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক দাবি করলেও তার নাগরিকত্বের কোনো বৈধ প্রমাণ নেই। তার নামে কোনো জাতীয়তা সনদ, ভূমি দলিল বা পিতামাতার মৃত্যুসনদও পাওয়া যায়নি।
২০১১ সালের ২২ জুলাই শুলকবহর ওয়ার্ডের জন্ম নিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে-এর সহযোগিতায় ভুয়া তথ্য দিয়ে একটি জাল জন্ম সনদ তৈরি করেন জলিল। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম ও জন্ম নিবন্ধন সহকারী অশোক কুমার দত্ত-এর নাম ব্যবহার করে আরও একটি জাল জন্ম সনদ তৈরি করা হয়।
এই জাল নথি ব্যবহার করে আবদুল জলিল জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। তৎকালীন থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম-এর সহায়তায় চট্টগ্রাম বন্দর নির্বাচন অফিস থেকে কোনো রেজিস্টার ছাড়াই তার এনআইডি ইস্যু করা হয়।
এসএইচ