হিলি: দিনাজপুরের হিলিতে আবারও বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। দুইদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। সরবরাহ কমের অজুহাতে দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পণ্যটির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। তাদের দাবি বাজার মনিটরিং করা হলে দামটা স্বাভাবিক থাকতো।
অপরদিকে আমদানিকারকরা বলেন, কিছু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন,ভারত থেকে যদি আমদানির অনুমতি দেয় সরকার তাহলে দামটা কমে আসবে।
বাজারে আসা ক্রেতা সজিব হোসেন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট শুরু করে দিয়েছেন। বেশকিছুদিন থেকে পেঁয়াজের দাম উঠানামা করছে। পেঁয়াজের মজুদে সংকট দেখিয়ে তারা দাম বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু যখনই প্রতিবেদন হয় তখনই একটু কমিয়ে দেয় পেঁয়াজের দাম ব্যবসায়ীরা। আবার কিছুদিন পর বাড়িয়ে দেন দাম। গত দুইদিন আগেও হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সেই পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে আজকে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, পেঁয়াজ একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, প্রতিদিনই কাজে লাগে সেই জিনিসের ২-১ দিনের ব্যবধানে এতোটা দাম বাড়াটা স্বাভাবিক না। তারা বলছেন, বাজার মনিটরিং না করার কারনে এভাবে দাম বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং এর দাবী জানান তারা।
পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন, সরবরাহ কমের কারণে দাম বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের। দুইদিন আগেও আমরা ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করেছি। তবে হটাৎ করে আজকে থেকে দাম বেড়েছে। আজকে পাইকারিতে পেঁয়াজ কিনলাম ৯৩ টাকা কেজি দরে। আর বিক্রি করছি ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
এদিকে বন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলছেন, দেশের কিছু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় তাহলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলেই দামটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পিএস