আইভী হাসলেন, হাসালেন

  • জেলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০১৬, ১০:১৭ পিএম

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) দ্বিতীয় বারের মেয়র নির্বাচিত হলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে ৭৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত সর্বশেষ ফলাফলে এটা নিশ্চিত হয়েছে।

সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, নৌকা প্রতীকে সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ ভোট। অপরদিকে ধানের শীষ প্রতীকে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৭০০ ভোট। হিসেবে মতে, ৭৭ হাজার ৯০২ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হলেন আইভী।

নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাতজন প্রার্থী। তবে মূল লড়াই হয় দেশের অন্যতম প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আইভী ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনের মধ্যে।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থী কামাল প্রধান ও কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। অন্য তিন মেয়র প্রার্থী হলেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল (কোদাল), ইসলামী আন্দোলনের মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা) ও ইসলামী ঐক্যজোটের ইজহারুল হক (মিনার)।

এদিকে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ভোটাররা সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিকেল ৪টার পর থেকে শুরু হয়েছে গণনা। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ছাড়াও এজেন্টের কাছে ফলাফল দিচ্ছেন। তারা মোবাইল ফোনে প্রার্থীদের মিডিয়া সেলে তাৎক্ষণিক জানিয়ে দিচ্ছেন। এসব মিডিয়া সেল থেকেই গণমাধ্যমকর্মীরা প্রাথমিক ফলাফল জানতে পারছেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর মিডিয়া সেল বসানো হয়েছে নিজ বাসভবনে আর বিএনপির মিডিয়া সেল বসানো হয়েছে বন্দরের পুরান কোর্ট এলাকায়।

আজ ২২ ডিসেম্বর নাসিক নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশের অন্যতম প্রধান দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি থেকে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নাসিকে মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। ২৭ ওয়ার্ডে ২৭ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন ১৫৬ জন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

আইভীর বিজয়ে হেসেছে দলের নেতারা, তার শুভাকাঙ্ক্ষি, স্বজনা। সেই সঙ্গে দলীয় প্রধানের কঠোর সিদ্ধান্তও ছিল প্রত্যাশিত। তার জয়ে নিজেও হাসলেন, হাসালেন সবাইকেই।

সোনালীনিউজ/এমএন