ঢাকা : দেশে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নিম্নমানের সেহেরি ও ইফতারি সরবরাহ করে যাত্রীদের কাছ থেকে গলাকাটা মূল্য আদায়ের অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল করিমের কাছে পাঠানো এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তুলে ধরে এ অভিযোগ করেন সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানের প্রথম দুই দিনে সংগঠনের সদস্যরা আন্তঃনগর তূর্ণা নিশিতা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, চট্টলা এক্সপ্রেস, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, মহানগর গৌধূলী, একতা এক্সপ্রেস, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে সেহেরি ও ইফতারি সরবরাহ কার্যক্রম পরিদর্শন করে।
[245287]
এতে দেখা যায়, প্রায় সব ট্রেনে নিম্নমানের সেহেরি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্যাকেটজাত করার সময় গাফেলতির কারণে অনেক খাবার নষ্ট হয়ে যায়। এসব খাবার বিভিন্ন ট্রেনে যাত্রীদের সরবরাহ করতে দেখা গেছে। এছাড়া এসব ট্রেনে ইফতারিতে ছোলা, পেয়াঁজু, বেগুনি, জিলাপি, আপেলের মতো খাবারগুলো যে পরিমাণে দেওয়ার কথা ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তা সরবরাহ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতিটি ট্রেনে রেলওয়ের সরবরাহ করা সেহেরি ও ইফতারির মূল্যতালিকা দৃশ্যমান জায়গায় লাগানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও পর্যবেক্ষণে কোনো ট্রেনে তা পাওয়া যায়নি। এমনকি কোনো ট্রেনের ক্যান্টিনেও মূল্যতালিকা সাটাঁনো হয়নি। এছাড়া রশিদ ছাড়া খাবারের মূল্য আদায় করতে দেখা গেছে, যা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত মূল্যের বেশি। এতে যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে মানহীন সেহেরি খেতে না পেরে অধিকাংশ যাত্রীকে খাবার ফেলে দিতে দেখা যায়।
[245272]
এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীস্বার্থ রক্ষায় ট্রেনের প্রতিটি কোচের দৃশ্যমান স্থানে খাবারের মূল্যতালিকা সাটাঁনোর ব্যবস্থা করা ও রশিদসহ মূল্য নেয়ার সুপারিশ করেছে সমিতি। এছাড়া ট্রেনে সেহেরি ও ইফতারিতে মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ করতে রেলপথ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছে যাত্রী অধিকার সুরক্ষায় নিয়োজিত সংগঠনটি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আরিফ, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ প্রমুখ।
এমটিআই